গোড্ডা, 19 ডিসেম্বর: ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা এলাকার পাথরগামা থানার পুলিশ আধিকারিকরা এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কী কারণে তাঁরা এখন আলোচিত? তা অবশ্য কোনও নেতিবাচক কারণে নয় ৷ কারণ হল সেখানের এক মৃত প্রসূতিকে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিলেন না ৷ আর এই খবর যখন পাথরগামা থানার পুলিশ আধিকারিক জানতে পারেন তখনই তিনি সেখানে এসে তাঁকে কাঁধে তুলে নিয়ে যান ও তাঁর সহকর্মীদেরও অনুরোধ করেন দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৷
গোড্ডার পাথরগামা থানার অন্তর্গত মহেশলিট্টি পঞ্চায়েতের গন্ধর্বপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রাবণ কুনওয়ারের স্ত্রী সাবিনার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন গর্ভবতী ৷ প্রসবের সময় তাঁকে সদর হাসপাতালে ভরতি করা হলে তিনি ও সদ্যোজাত শিশু দু'জনেরই মৃত্যু হয়। এরপর দেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয় । তাঁর বাড়িতে মাত্র দু'জন সদস্য ৷ এক তাঁর স্বামী ও অন্যজন তাঁর দেওর। পরিবারের অন্য আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক ভালো ছিল না ৷ তাই মৃত সাবিনাদেবীকে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিলেন না ৷
এই খবর যখন পাথরগামা থানার ইনচার্জ অরুণ কুমারের কানে পৌঁছয় তখন তিনি থানার আরও অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে গ্রামে পৌঁছন ৷ সেখানে গিয়ে মৃতদেহ নিজে কাঁধে তুলে নেন ও তাঁর সহকর্মীদেরও অনুরোধ করেন এগিয়ে আসার জন্য ৷ তারপর তাঁরা শ্মশানে নিয়ে গিয়ে সাবিনাদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন (Godda Police Set Example of Humanity) ৷ আর এই ছবি এখন ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায় ৷
আরও পড়ুন: শিশু উদ্ধারে গিয়ে পরিবার-সহ প্রতিবেশীদের হাতে আক্রান্ত পুলিশকর্মী, শান্তিপুরে চাঞ্চল্য