বেঙ্গালুরু, 31 জানুয়ারি: জেল থেকে আগেই ছাড়া পেয়েছেন। এ বার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন শশিকলা। কোভিড 19-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তাঁকে স্বাগত জানাতে হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমান 300-রও বেশি মানুষ।
বেঙ্গালুরু মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ''শনিবার 10 দিনের চিকিত্সা পূর্ণ হয়েছে শশিকলার। তিনি উপসর্গহীন ছিলেন। গত তিন দিন ধরে তাঁকে আর অক্সিজেন দিতে হয়নি। প্রোটোকল অনুযায়ী এ বার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া যায়।'' বুলেটিনে আরও জানানো হয় যে, ''তাঁর চিকিত্সারত ডাক্তারদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শশিকলা এখন সুস্থ, তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। বাড়িতে কোয়ারানটিনে থাকার পরামর্শ দিয়ে তাঁকে রবিবার ছাড়া হচ্ছে।''
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শশিকলাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয় 8টি গাড়ির কনভয়। বেঙ্গালুরুর অদূরে ভাড়া করা একটি ভিলায় তিনি দুদিন থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর তামিলনাড়ুতে ফিরলে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে বিরাট আয়োজন করা হয়েছে। এ দিন গাড়ি থেকেই সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন শশিকালা। তাত্পর্যপূর্ণভাবে ওই গাড়িতেই লাগানো ছিল এআইএডিএমকে-র পতাকা। এ ভাবেই তিনি জেল থেকে বেরিয়ে প্রথম রাজনৈতিক বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
চার বছরের হাজতবাস কাটিয়ে গত বুধবার সংশোধনাক থেকে মুক্তি পান বহিষ্কৃত এআইএডিএমকে নেত্রী ভিকে শশিকলা। কিছুদিন আগে কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল তাঁকে। এমন একটা সময়ে শশিকলা মুক্তি পেয়েছেন, যখন তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। ইতিমধ্যেই ঘর গোছাতে শুরু করেছে দুই প্রধান প্রতিপক্ষ এআইএডিএমকে ও ডিএমকে।
আরও পড়ুন: 4 বছরের হাজতবাস শেষ, ভোটের আগেই মুক্ত শশিকলা
1991-1996 সালে জয়ললিতা যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময়কার 66.65 কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তির মামলায় 2017 সালের ফেব্রুয়ারিতে চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল শশিকলার। তার পর থেকেই পারাপ্পানা আগ্রাহারা সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন ।
আরও পড়ুন: কোভিড পজ়িটিভ শশিকলা, শারীরিক অবস্থার অবনতি
ওই মামলায় 2013 সালে জয়ললিতাকে চার বছরের জেল হেপাজতের সাজা শুনিয়েছিল বিশেষ আদালত । তাঁকে 100 কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয়। দোষীসাব্যস্ত করা হয়েছিল শশিকলা, ভিএন সুধাকরণ ও ইলাভারাসিকেও । তাঁদেরও 10 কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্নাটক হাইকোর্টে আবেদন করলে আদালত জয়ললিতাকে সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস করে দেয় । তবে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেলে 2017 সালে বিশেষ আদালতের রায়ই বহাল রাখা হয়।