সারণ, 14 অক্টোবর : নিন্দুকের মুখে তালা লাগানো না গেলেও খাতায় কলমে বিহারকে ‘তৃষ্ণার্ত’ই করে রেখেছেন নীতীশ কুমার ৷ আলো-আঁধারি এবং ফাঁকফোকর গলে যদিও মদের আমদানি বন্ধ নেই ৷ তবে সেখানে এ বার প্রকাশ্য দিনের আলোয় মদ নিবেদন করে তড়িৎপ্রবাহ যন্ত্র, ট্রান্সফর্মার-এর মান ভাঙাতে দেখা গেল এক বিদ্যুৎকর্মীকে । তাতে সাড়াও দিল ট্রান্সফর্মার বাবাজি ৷ মদে গলা ভিজিয়েই সেটি চাঙ্গা হয়ে ওঠে বলে দাবি । সেই দৃশ্য সামনে আসতে কার্যত বিদ্যুৎস্পৃষ্টই হয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা ৷
বিহারের সারণ জেলার সলেমপুর পোখরা এলাকায় সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটে । ট্রান্সফর্মারটি বিগড়ে যাওয়ায় সপ্তাহখানেক ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছিল । সেটি সারানোর জন্য বিদ্যুৎ পরিষেবা সংস্থা থেকে ‘মানব শক্তি’ বিভাগের দুই বিদ্যুৎকর্মীকে পাঠানো হয় ৷ কিন্তু যান্ত্রিক গলদ খুঁজে বার করার পরিবর্তে দু’জনই পুজো-অর্চনা করে ট্রান্সফর্মারের মানভঞ্জনে নেমে পড়েন বলে অভিযোগ ৷ মোবাইলের ক্যামেরায় তাঁদের এই কর্মকাণ্ড রেকর্ড করে স্থানীয়রাই নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন , যাতে খুঁটি বেয়ে উপরে উঠে ট্রান্সফর্মারে মদ নিবেদন করতে দেখা গিয়েছে ওই বিদ্যুৎকর্মীদের মধ্যে একজনকে ৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, খুঁটি বেয়ে উপরে উঠে প্রথমে ট্রান্সফর্মারটিকে ধূপকাঠি এবং লাড্ডু নিবেদন করেন ওই দুই বিদ্যুৎকর্মী ৷ সেই টোটকা কাজ না করায়, এর পর নিজেদের মধ্যে কিছু ক্ষণ আলোচনা করেন তাঁরা ৷ তার পর মদের বোতল হাতে নিয়ে সটান উপরে উঠে যান একজন ৷ তার পর সত্যনারায়ণের পর শান্তিজল ছেটানোর মতো করে, ট্রান্সফর্মারটিকে প্রদক্ষিণ করতে করতে মদ ছিটিয়ে দিতে থাকেন ৷ তাতে ট্রান্সফর্মারটি আচমকা কাজ করতেও শুরু করে দেয় বলে দাবি স্থানীয়দের ৷
নেটমাধ্যম গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে বিদ্যুৎ পরিষেবা সংস্থাটির আধিকারিকরা ৷ আইনজীবীকে দিয়ে ওই দুই বিদ্যু৷কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তাঁরা ৷ দু’জনকে কাজ থেকেও ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ ট্রান্সফর্মারটির উপর মদের ছিটে জিয়নকাঠির মতো কাজ করেছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ ৷ আবার মদ যেখানে পুরোপুরি নিষিদ্ধ, সেই বিহারে বিদ্যুৎকর্মীর হাতে মদের বোতল এল কোত্থেকে, সেই প্রশ্নও ছুড়ে দিয়েছেন অনেকে ৷
আরও পড়ুন: BSF : 50 কিমি পর্যন্ত গ্রেফতারি, বাজেয়াপ্ত, তল্লাশির ক্ষমতা পেল বিএসএফ