নয়াদিল্লি, 28 ডিসেম্বর: আর্থিক তছরুপের মামলায় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি ভাদ্রার নাম চার্জশিটে উল্লেখ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । যদিও এর আগে এই মামলায় চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি । এই প্রথম প্রিয়াঙ্কার নাম এই মামলার সঙ্গে যোগ করল ইডি ৷ এই ঘটনা ঘিরে স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে যে 2006 সালে দিল্লি-ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহওয়ার কাছ থেকে হরিয়ানার ফরিদাবাদে 40 কানাল (পাঁচ একর) একটি কৃষি জমি কিনেছিলেন প্রিয়াঙ্কা এবং পরে ওই একই জমি 2010 সালে ফেব্রুয়ারিতে এজেন্টকে বিক্রি করেছেন তিনি । ইডির দাবি, পাহওয়া থেকে ফরিদাবাদের আমিপুর গ্রামে জমি কেনা হয়েছিল ৷ এজেন্টেরের থেকে প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট ভাদ্রাও 2005-2006 সালে আমিপুর গ্রামে 334 কানাল (40.08 একর) জমি কিনেছিলেন এবং 2010 সালের ডিসেম্বরে একই জমি এজেন্টকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি ।
ওই এজেন্ট হল একই ব্যক্তি যিনি এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থামপির কাছে জমি বিক্রি করেছিলেন । বৃহত্তর মামলায় পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারি জড়িত ৷ তিনি টাকা পাচার, বৈদেশিক মুদ্রা এবং কালো টাকার আইন লঙ্ঘন এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের জন্য একাধিক সংস্থার তদন্তাধীন । তিনি 2016 সালে ভারত থেকে ব্রিটেনে পালিয়ে যান ।
ব্রিটিশ নাগরিক সুমিত চাড্ডার সঙ্গে মিলে সিসি থামপির বিরুদ্ধে সঞ্জয় ভান্ডারীকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে । ইডি আর্থিক তছরুপ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত তার আগের চার্জশিটে রবার্ট ভাদ্রাকে সিসি থামপির ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসাবে উল্লেখ করেছিল । নতুন চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, পাহওয়া জমি অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে বই থেকে নগদ টাকা পেয়েছিলেন । ইডির দাবি, রবার্ট ভাদ্রা পাহওয়াকে সম্পূর্ণ জমি বিক্রির টাকা দেননি । এ বিষয়ে ইডির তদন্ত এখনও চলছে ।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, উপরে উল্লেখিত লেনদেনগুলি এ বছরের 17 নভেম্বর চিঠির মাধ্যমে পাহওয়ার অ্যাকাউন্টের অনুলিপি থেকে রেকর্ড করা হয়েছিল । চিঠিতে লেখা হয়েছে যে রবার্ট ভাদ্রা ভারতে যথাক্রমে 2007 সালে 1 নভেম্বর এবং 16 নভেম্বর স্কাই লাইট হসপিটালিটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্কাই লাইট রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেডের নাম-সহ সংস্থাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন ৷ এটি কর্পোরেট মন্ত্রকের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে ৷ ইউএইতে স্কাই লাইট ইনভেস্টমেন্ট এফজেডই নামে একটি সংস্থা 1 এপ্রিল 2009 সালে সিসি থামপিকে তার একমাত্র শেয়ারহোল্ডার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ৷
চার্জশিট অনুয়ায়ী, টি-3/219/এইচকিউ/2015 নম্বর বিয়ারিং মামলায় থামপি এবং তাঁর ভারতীয় সংস্থার তদন্ত চলছে ৷ ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট 1999 (ফেমা)-এর বিধানের অধীনে তদন্তের সময় এটি পাওয়া গিয়েছে যে থামপি জমি কিনেছিল হরিয়ানার ফরিদাবেদ জেলার আমিপুর গ্রামে 2005 থেকে 2008 সাল পর্যন্ত 486 একর ৷ দিল্লি এনসিআর ভিত্তিক রিয়েল ইস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহওয়ার মাধ্যমে এই জমি কেনা হয় ।
(সংবাদ সূত্র - এএনআই)
আরও পড়ুন: