নয়াদিল্লি, 8 জুন: ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে গেলে সীমান্ত শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে ৷ বৃহস্পতিবার চিনকে এই ভাবেই কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ তিনি বলেন, ‘‘ভারতও চায় চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে, কিন্তু তা তখনই সম্ভব যখন সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে । ভারত চিনকে স্পষ্ট করে বলেছে যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি না আসা পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্ক এগোতে পারবে না ।’’
মূলত, পূর্ব লাদাখে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়েই এ দিন নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে জয়শঙ্কর এই বার্তা দিয়েছেন বেজিংকে ৷ একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘‘যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এমন নয় । মোদ্দা কথা হল চিনের সঙ্গে, গালওয়ান হওয়ার আগেই, আমরা চিনাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে দেখুন আমরা আপনার বাহিনীর গতিবিধি দেখছি, যা আমাদের দৃষ্টিতে আমাদের বোঝাপড়ার লঙ্ঘন বলে মনে হচ্ছে । গালওয়ানের ঘটনার পরদিন সকালেও আমি চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি ৷’’
বিদেশমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ভারত জবরদস্তি, প্রলোভন ও মিথ্যা বর্ণনায় প্রভাবিত হয় না । এই ক্ষেত্রে তিনি দেশের উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতির প্রতি নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন ৷ একই সঙ্গে চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের যে ভারত বিরোধী, তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন ৷
ভারত ও চিনা সেনা পূর্ব লাদাখের কিছু নির্দিষ্ট জায়হায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে রয়েছে ৷ যদিও উভয়পক্ষ ব্যাপক কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার পরে বেশ কয়েকটি স্থিতাবস্থা ফিরে এসেছে ৷ এই নিয়ে জয়শঙ্করের বক্তব্য, উভয় পক্ষকে সৈন্যদের বিচ্ছিন্ন করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে ৷ বর্তমান অচলাবস্থা চিনের স্বার্থের জন্যও ভালো নয় ।
তবে 2020 সালের মে মাসে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই সময় ভারতের কোনও অংশ কি চিন দখল করেছে ? এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নও ওঠে ৷ তবে কৌশলে উত্তর এড়িয়ে যান তিনি ৷ তাঁর কথায়, মূল সমস্যা সীমান্তের ফরওয়ার্ড পয়েন্টগুলিতে চিনের সেনা মোতায়েন নিয়ে ৷
আরও পড়ুন: ভারত-চিন সীমান্তে 'দেশের প্রথম গ্রাম' মানা, স্বপ্নপূরণ প্রধানমন্ত্রীর