ভোপাল, 20 অক্টোবর: প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গেটে ঝুলিয়ে একটি পোষ্যকে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার কুকুর প্রশিক্ষক ও তার দুই সহযোগী ৷ যদিও এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, কুকুরটি আক্রমণাত্মক আচরণ করছিল বলে এভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন ৷ কিন্তু প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজ থেকে স্পষ্ট কুকুরটিকে ইচ্ছাকৃতভাবেই হত্যা করা হয়েছে ৷
অভিযুক্ত কুকুর প্রশিক্ষকের নাম রবি কুশওয়াহা ৷ তাঁর সহযোগীরা হলেন নেহা তিওয়ারি ও তরুণ দাস ৷ মৃত কুকুরটির মালিক নিখিল জয়সওয়াল অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ এরপর পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ৷
মধ্যপ্রদেশের শাজাপুর জেলার কালাপিপালের বাসিন্দা নিখিলের পোষা কুকুরটির নাম ছিল সুলতান ৷ রবির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিনি সুলতানকে রেখে কাজে গিয়েছিলেন ৷ ফিরে সুলতানকে নিতে এলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, কুকুরটি অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে ৷ এই কথায় তাঁর সন্দেহ হওয়ায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখানোর দাবি জানান নিখিল ৷
তখন রবি জানিয়েছিলেন, কোনও সিসিটিভি ফুটেজ নেই ৷ এরপর নিখিলকে একপ্রকার বাধ্য করা হয়েছিল তাঁর প্রিয় পোষ্য সুলতানের দেহ নিয়ে চলে যেতে ৷ শেষকৃত্যের পরও তিনি বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না। কীভাবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেখে যাওয়া সম্পূর্ণ সুস্থ পোষ্য হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে তা তাঁর বোধহম্য হচ্ছিল না ৷ এই ঘটনায় তিনি ভোপালের মিসরোড থানায় গিয়ে কুকুর প্রশিক্ষক রবি-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ৷
মিসরোড থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক অশোক শর্মা বলেন, "নিখিল জানিয়েছিলেন সুলতান খুব শক্তিশালী ছিল ৷ সহজেই একটি বোলেরো গাড়ি টানতে পারত ৷ সেই পোষ্য অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় তিনি সন্দেহ করেছিলেন, প্রশিক্ষকই সুলতানকে হত্যা করেছেন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ রবিকে তাঁর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বাধ্য করা হয় ৷"
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রশিক্ষক কুকুরটিকে বেঁধে একটি গেট থেকে ঝুলিয়ে রেখেছেন ৷ কুকুরটিকে সেই সময় কয়েক মিনিট ধরে নিজের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করতেও দেখা গিয়েছে ৷ তখন প্রশিক্ষক দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন ৷ অবশেষে কুকুরটি মাটিতে পড়ে যায় ৷ তারপর প্রশিক্ষক দেহটি নিয়ে চলে যান ৷
আরও পড়ুন : ঈশ্বরের সঙ্গে বাস 25টি কুকুরের, বাংলার কোথায় রয়েছে এই মন্দির ?