নয়াদিল্লি, 21 মে : করোনার আতঙ্ক তো রয়েছেই ৷ তার সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে ব্ল্যাক ফাংগাস বা মিউকরমাইকোসিস ৷ ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাংগাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে একাধিক রাজ্য ৷ আর এই সবের মধ্যেই গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে হোয়াইট ফাংগাস রোগ ৷
পটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের শরীরে হোয়াইট ফাংগাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাংগাসের থেকেও বেশি ভয়ঙ্কর এই হোয়াইট ফাংগাস ৷
কীভাবে হোয়াইট ফাংগাসের সংক্রমণ হয় ?
যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের শরীরে হোয়াইট ফাংগাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, লো ইমিউনিটি হোয়াইট ফাংগাসের সংক্রমণের অন্যতম কারণ ৷ অথবা যদি কেউ এই ফাংগাসের সংস্পর্শে আসেন, তাঁদের শরীরেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে ৷
হোয়াইট ফাংগাসের উপসর্গ কী ?
হোয়াইট ফাংগাসের উপসর্গ আর করোনার উপসর্গ প্রায় একইধরনের ৷ সিটি স্ক্যান বা এক্স রে করালে সংক্রমণ ধরা পড়ে ৷ এটি শুধুমাত্র ফুসফুসেই নয়, শরীরের বাকি অংশেও সংক্রমিত হতে পারে ৷ নখ, ত্বক, পাকস্থলী, কিডনি, মস্তিস্ক, মুখ ও গোপনাঙ্গে হোয়াইট ফাংগাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে ৷
করোনা রোগীদের হোয়াইট ফাংগাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা রোগীদের বেশি সাবধানে থাকা প্রয়োজন ৷ কারণ, তাঁদের শরীরে হোয়াইট ফাংগাসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ৷ তার উপর করোনা ও হোয়াইট ফাংগাসের উপসর্গ একই ধরনের ৷ যাঁদের ডায়াবেটিস, ক্যান্সার রয়েছে অথবা যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড নিচ্ছেন, তাঁদের বেশি সতর্ক থাকা দরকার ৷ পাশাপাশি, যে করোনা রোগীরা অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন, তাঁরাও সংক্রমিত হতে পারেন ৷