নয়াদিল্লি, 14 সেপ্টেম্বর: সংসদের বিশেষ অধিবেশন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। 18 সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে 22 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে অধিবেশন ৷ কিন্ত কোন দিক থেকে বিশেষ এই অধিবেশন? পার্লামেন্টারি বুলেটিন জানাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত বিলের উপর আলোচনা হতে পারে এই বিশেষ অধিবেশনে। পাশাপাশি, অ্যাডভোকেট সংশোধনী এবং তার নথিভুক্তিকরণ সংক্রান্ত বিল আর পোস্ট অফিস বিল নিয়েও আলোচনা হবে পাঁচদিনের এই অধিবেশনে ৷
শুরুটা অবশ্য হবে অন্য ভাবে। স্বাধীনতার পর থেকে সংসদের গত 75 বছরের যাত্রাপথ নিয়ে আলোচনা করবেন সাংসদরা ৷ সংবিধান সভা থেকে শুরু করে সংসদের বিভিন্ন অধিবেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এত বছরের প্রাপ্তি থেকে শুরু করে অভিজ্ঞতা, স্মৃতি এবং শিক্ষনীয় বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে লোকসভায় ৷
-
In addition to other Business, Lok Sabha will discuss "Parliamentary Journey of 75 years starting from Samvidhan Sabha - Achievements, Experiences, Memories and Learnings" on the first day of the 13th Session of 17th Lok Sabha on 18 September, 2023.
— LOK SABHA (@LokSabhaSectt) September 13, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">In addition to other Business, Lok Sabha will discuss "Parliamentary Journey of 75 years starting from Samvidhan Sabha - Achievements, Experiences, Memories and Learnings" on the first day of the 13th Session of 17th Lok Sabha on 18 September, 2023.
— LOK SABHA (@LokSabhaSectt) September 13, 2023In addition to other Business, Lok Sabha will discuss "Parliamentary Journey of 75 years starting from Samvidhan Sabha - Achievements, Experiences, Memories and Learnings" on the first day of the 13th Session of 17th Lok Sabha on 18 September, 2023.
— LOK SABHA (@LokSabhaSectt) September 13, 2023
এই অধিবেশনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে ৷ অগস্ট-সেপ্টেম্বরের বাদল অধিবেশনে 10 অগস্ট রাজ্যসভায় এই বিলটি পেশ করা হয় ৷ নির্বাচন কমিশনের কর্ম প্রক্রিয়ার বিষয়টিও এই বিলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৷ এছাড়া এই বিল অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে লোকসভার বিরোধী নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হবে ৷
এই কমিটি নির্বাচন কমিশনের নাম পাঠাবে রাষ্ট্রপতির কাছে ৷ এরপর রাষ্ট্রপতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন ৷ এর আগে মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট এরকমই একটি রায় দিয়েছিল ৷ শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটির পরামর্শে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন ৷ প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী নেতা এবং দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে এই কমিটি গঠিত হবে ৷
আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থীতে নতুন সংসদ ভবনে বসছে বিশেষ অধিবেশন !
তাই এই বিল কার্যকর হলে তা সুপ্রিম কোর্টের রায়কেই মান্যতা দেওয়া হবে বলে মনে করছে শাসক শিবির ৷ তবে সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছিল, সংসদে আইন প্রণয়ন হলে তারপর এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা যাবে ৷ তবে এর বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি ৷ কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল এর সমালোচনা করেছিলেন ৷ তাঁর মতে, এই বিলটি দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পর সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত হবেন ৷ আর তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতের পুতুলে পরিণত হবেন ৷