নয়াদিল্লি, 2 ডিসেম্বর : শুক্রবার (আগামিকাল) থেকে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল দিল্লির সমস্ত স্কুল (Delhi Schools Closed) ৷ বায়ুদূষণ (Delhi Air Pollution) মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই (Environment Minister Gopal Rai on Schools) ৷ বৃহস্পতিবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, সরকারের এই পদক্ষেপের আগেই স্কুল খোলা নিয়ে দিল্লি সরকারকে তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court on Delhi Schools Reopening) ৷
এদিন এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলে, ‘‘সরকার বড়দের জন্য বাড়ি থেকে কাজ করার ব্যবস্থা করেছে ৷ তাহলে বাচ্চাদের কেন স্কুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে ?’’ এরপরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে দিল্লি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার (Arvind Kejriwal Government) ৷ তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রাজধানীতে সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে ৷ নয়া নির্দেশিকা প্রসঙ্গে পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, ‘‘বায়ুর মানোন্নয়নের পূর্বাভাস পেয়েই আমরা স্কুলগুলি পুনরায় চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু, রাজধানীতে বায়ুদূষণের মাত্রা আরও বেড়েছে ৷ আর সেই কারণেই শুক্রবার থেকে আমরা সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত যা বলবৎ থাকবে ৷’’
দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকায় যে হারে বায়ুদূষণ বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court on Delhi Air Pollution) ৷ কেন্দ্রীয় সরকার, দিল্লি সরকার এবং লাগোয়া রাজ্যগুলিকে মাত্র 24 ঘণ্টা সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷ বিশেষজ্ঞদের দাবি, মূলত শিল্পাঞ্চল থেকে এবং অত্যাধিক গাড়ির ব্যবহারই দিল্লিতে দূষণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ ৷ আদালতের নির্দেশ, 24 ঘণ্টার মধ্যেই সমস্যা সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ৷
আরও পড়ুন : Air pollution in Lok Sabha: বায়ু দূষণ রোধে তৎপরতা, লোকসভায় উত্থাপিত 360 প্রশ্ন
বায়ুদূষণের জেরে গত 13 নভেম্বর থেকে দিল্লিতে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ বন্ধ থাকে সশরীরে পঠনপাঠন ৷ বদলে ক্লাস চলতে থাকে অনলাইনে ৷ এরপর গত 29 নভেম্বর থেকে পুনরায় স্কুল খোলার নির্দেশ দেয় দিল্লি সরকার ৷ তাদের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালত ৷ এদিন এই প্রসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, ‘‘3-4 বছরের শিশুরা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করছে ৷ অথচ বড়রা বাড়িতে বসে কাজ করছেন ! আপনাদের সরকার পরিচালনার জন্য এবার তো আমাদের কোনও প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে !’’
আদালতের এদিনের এই কড়া পর্যবেক্ষণের পরই নড়েচড়ে বসে দিল্লি সরকার ৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয় ৷ একইসঙ্গে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে যাবতীয় নির্মাণকাজও ৷