নয়াদিল্লি, 31 মার্চ: গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি আজ শুক্রবার ৷ এদিন অনুব্রত মণ্ডলের আবেদনের শুনানি হবে বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে। এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের তরফে তাঁর আইনজীবী মুদিত জৈন আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলকে তিহার জেল থেকে আসানসোল জেলে স্থানান্তরিত করা হোক ৷
সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল সহ এই মামলার সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্য়ক্তিকে ৷ এই মুহূর্তে এনামুল হক, তৃণমূল নেতার হিসবরক্ষক মণীশ কোঠারি এবং অনুব্রত মণ্ডল নিজেও তিহাড় জেলে রয়েছেন ৷ সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷ শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাঁকে জেল হাসপাতালেও ভর্তি করা হয় ৷ এবার সেই অনুব্রত মণ্ডলের তরফে আসানসোল ফিরে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে ৷ অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে তাঁকে আসানসোল জেলে পাঠানোর আর্জি জানানো হয় ৷
অনুব্রতর আইনজীবীর করা আবেদনে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আসানসোল-পশ্চিম বর্ধমানের সিবিআই আদালতে নির্ধারিত অপরাধের অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় অনুব্রতকে জেরাও শেষ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সঙ্গে ইডি-র হেফাজতে নেওয়ার সময়ও শেষ হয়েছে। তাই তাঁকে তিহাড় জেলে রাখার দরকার নেই বলেও আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী ৷ তাই তাঁকে ফের আসানসোল জেলে পাঠানো উচিত।
21 মার্চ ইডির হেফাজতের সময় শেষ হয়েছে ৷ বিচারক রঘুবীর সিং মণ্ডল অনুব্রতকে 3 এপ্রিল পর্যন্ত 14 দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন ৷ এরপর থেকে তিনি তিহাড় জেলেই বন্দি রয়েছেন। এর আগে অবশ্য় অনুব্রতর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, গ্রেফতারের আগে একাধিকবার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ বেশ কয়েকবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ালেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা ৷ পরে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেয় আদালত ৷ আপাতত তিনি তিহাড় জেলেই বন্দি ৷
আরও পড়ুন: পানাগড়ের নিখোঁজ ব্যবসায়ীর খোঁজ মিলল বারাণসী স্টেশনে