সুতাহাটা, 20 এপ্রিল : শনিবার হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা চলাকালীন উত্তেজনা ছড়ায় জাহাঙ্গিরপুরীতে (Delhi Jahangirpuri Clash) । গোষ্ঠী সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন । তাতে এবার নাম জড়াল বাংলার ৷ জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ ৷ গ্রেফতার হয়েছে বাংলার দুই যুবকও ৷ জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে ৷ তদন্তকারীদের সন্দেহ, হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে রাজ্যের আরও কয়েকজন যুবক (Delhi Jahangirpuri Clash) ৷
জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনার পরেই দিল্লি পুলিশ আনসার শেখ এবং আসলাম শেখকে গ্রেফতার করে ৷ দুই যুবকই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা । আনসার শেখের পরিচয় জানতে গিয়ে সামনে এসেছে একাধিক তথ্য । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনসার আদতে বিহারের বাসিন্দা । তবে বৈবাহিক সূত্রে তার অস্থায়ী ঠিকানা ছিল হলদিয়া ব্লকের কুমারপুর গ্রাম । দানধ্যানের অভ্যাসের কারণে খুব অল্প সময়েই এলাকাবাসীর কাছে চেনামুখ হয়ে উঠেছিল এই যুবক । এহেন আনসারের নাম দিল্লিতে পাথর ছোড়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় রীতিমতো হতবাক কুমারপুর গ্রাম।
কুমারপুর গ্রামে আনসারের প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এই বাড়ির বাসিন্দারা অধিকাংশ সময়ই দিল্লিতে থাকেন । তবে প্রতি বছর রমজান মাসে আনসার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে হলদিয়ায় এসে বিপুল পরিমাণ দানধ্যান করে ৷ স্থানীয় চকদ্বীপা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পাওয়া তথ্য অবশ্য বলছে, কুমারপুর অস্থায়ী ঠিকানা হলেও সেখানকার ভোটার নন আনসার ৷ অন্যদিকে, ধৃতের বাংলাদেশ যোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে জাহাঙ্গিরপুরীতে আপাতত স্বস্তি, থামল পৌরনিগমের বুলডোজার
শুধু আনসারই নয়, এই ঘটনার সঙ্গে আর কারও যোগ রয়েছে কি না, সেবিষয়ে তদন্ত করতে পূর্ব মেদিনীপুরে আসে দিল্লি পুলিশের একটি দল । এদিন সকালে প্রথমে মহিষাদল থানা এবং পরে সুতাহাটা থানায় যান তদন্তকারীরা । সুতাহাটার গোলাপ চক গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা । হলদিয়া থানার কুকড়াহাটি গ্রামে শেখ দিলশাদের বাড়িতেও গিয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে আরও বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে ।