নয়াদিল্লি, 15 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে মেহরৌলির জঙ্গলে নিয়ে গেল তদন্তকারীরা (Delhi Police Take Aftab Amin to jungle) ৷ ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশ শ্রদ্ধার দেহের 12টি অংশ (Body Parts of Shraddha Walker) উদ্ধার করেছে ৷ তাঁর দেহের বাকি অংশগুলি উদ্ধার করতে আফতাবকে পুলিশ জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র ৷ প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ এর পরেই গতকাল আফতাবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
পুলিশের সূত্র সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, গতকাল উদ্ধার হওয়া প্লাস্টিক বন্দি 12টি দেহাংশ ফরেন্সিকে পাঠিয়েছেন গোয়েন্দারা ৷ তবে, আগে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, তা মানব শরীরের অংশ কিনা ৷ মানব শরীরের অংশ হলে তা শ্রদ্ধার বাবার ডিএনএ’র সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখা হবে ৷ এর পরেই আজ অভিযুক্ত আফতাব আমিনকে মেহরৌলির জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বাকি দেহাংশের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ৷
প্রসঙ্গত, পুলিশকে জেরায় আফতাব জানিয়েছে, 6 মাস আগে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন তিনি (Shraddha Murder Case) ৷ এর পর তাঁর দেহ 35টি টুকরো করে ৷ দেহাংশগুলি রাখতে নতুন ফ্রিজ কেনেন আফতাব ৷ এর পর ফ্রিজের ভিতরে প্যাকেটে করে দেহাংশগুলি লুকিয়ে রাখেন ৷ এমনকি, নিয়মিত অফিসেও জেতেন আফতাব ৷ আর রোজ রাত 2টো নাগাদ মেহরৌলির জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে দেহাংশগুলি ফেলে আসতেন অভিযুক্ত যুবক ৷ পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, দেহ লোপাটের জন্য ইংরেজি ক্রাইম সিরিজ দেখে পরিকল্পনা সাজিয়ে ছিলেন ৷
প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়াকার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘‘আমি লাভ জিহাদ সন্দেহ করছি ৷ আমরা আফতাবের মৃত্যুদণ্ড দাবি জানাচ্ছি ৷ আমি দিল্লি পুলিশের উপর আস্থা রাখছি এবং তদন্তও সঠিক পথে যাচ্ছে ৷ শ্রদ্ধা ওর কাকার খুব কাছের ছিল ৷ আমার সঙ্গে খুব একটা কথা বলত না ৷ আমি কখনই আফতাবের সঙ্গে কথা বলিনি ৷ আমি প্রথম অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম ভাসাই থানায় ৷’’
আরও পড়ুন: মার্কিন সিরিজ দেখেই খুনের ছক, নতুন ফ্রিজে প্রেমিকার টুকরো দেহ সংরক্ষণ আফতাবের
প্রসঙ্গত, আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক বাবা-মা মেনে না নেওয়ায় বাড়ি ছেড়ে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন ৷ দিল্লিতে আফতাবের সঙ্গে লিভ-ইন করছিলেন ৷ গত কয়েকমাস ধরে শ্রদ্ধার ফোন বন্ধ থাকায়, তাঁর এক বন্ধু শ্রদ্ধার বাবাকে বিষয়টি জানান ৷ এর পরেই তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন ৷ আর তার পরেই দক্ষিণ দিল্লি পুলিশ আফতাবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই নারকীয় এই অপরাধ সামনে আসে ৷