নয়াদিল্লি, 17 ফেব্রুয়ারি: বিয়ের বাকি তখন আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা ৷ প্রথা অনুসারে প্রাক-বিবাহ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান চলছে ৷ ঠিক তখনই প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সাহিল গেহলত ! নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডের (Nikki Yadav Murder Case) তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ৷ নিজেদের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ খুঁজতে আপাতত সাহিলের বিয়ের ভিডিয়ো (Sahil Gehlot Wedding Video) খুঁটিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ৷
সাহিলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিরা ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিয়ের সময় একেবারে শান্ত ছিলেন সাহিল ৷ তিনি যে একজন মানুষকে খুন করে, তাঁর লাশ লুকিয়ে রেখে বিয়ে করতে বসেছিলেন, একথা এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির 9 তারিখেও বেঁচে ছিলেন নিক্কি, প্রকাশ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ
পুলিশও ইতিমধ্য়েই সাহিলের বিয়ের একাধিক ছবি দেখেছে ৷ কিন্তু, কোনও ছবিতেই সাহিলকে উত্তেজিত, ভীত, চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন বলে মনে হয়নি ৷ আর এই ঘটনাটিই অবাক করছে তদন্তকারীদের ৷ সাধারণত, পেশাদার খুনি, কিংবা যারা ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করে, তাদের ক্ষেত্রেই এমন আচরণ দেখতে পাওয়া যায় ৷ অথচ, সাহিল পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, রাগের মাথায় নিক্কিকে খুন করেছেন তিনি ৷ সেই দাবি আদৌ সত্যি কি না, সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের ৷ তবে, সাহিলের এই কীর্তি যে তাঁর বা তাঁর নতুন বউয়ের পরিবারের কেউ জানতেন না, সেই বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিশ ৷
তদন্তে জানা গিয়েছে, নিক্কিকে খুনের পরই শুধু নয়, খুনের আগেও চুটিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ, ফূর্তি করেছেন সাহিল ! বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছিল গত 10 ফেব্রুয়ারি ৷ তার আগের রাতে, অর্থাৎ 9-10 ফেব্রুয়ারির রাতে সাহিল নিক্কিকে খুন করেন বলে অভিযোগ ৷ এই খুনের আগে 9 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে নাচ, গান করতে দেখা গিয়েছে সাহিলকে ৷ ওই দিনই বাবা-মায়ের পছন্দ করা মেয়ের সঙ্গে আংটিবদল হয় তাঁর ৷ এরপর নিক্কিকে খুন করে, তাঁর দেহ একটি ধাবার ফ্রিজের ভিতর ঢুকিয়ে, 10 তারিখ বিয়ের পিঁড়িতে বসে যান সাহিল ! এরপরও তাঁর দাবি, যা ঘটেছে, পুরোটাই ঘটেছে রাগের মাথায় !