নয়াদিল্লি, 10 জানুয়ারি: ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিয়ে সামাজিক মাধ্য়মে বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন তিনি ৷ একবার নয়, দু'দুবার ৷ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা ছাত্র সংসদের নেত্রী শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য পোস্টের অভিযোগ উঠেছে ৷ 2019 সালের 18 অগস্ট তিনি সেনাবাহিনীকে (Indian Army) নিয়ে একাধিক বিবৃতি দেন সামাজিক মাধ্যমে ৷ যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ৷ তাঁর অভিযোগ, সেনাবাহিনী কাশ্মীরবাসীর উপর অত্যাচার চালাচ্ছে ৷
এই সব টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করেছিল দিল্লি পুলিশ ৷ শেহলার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হল ৷ সেনাবাহিনীও তাদের পক্ষ থেকে শেহলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের জবাব দিয়েছে ৷ তবে থেকে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন ৷ এবার দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার কাছে এ বিষয়ে ফাইল যায় ৷ শেহলার বিরুদ্ধ ওঠা দেশদ্রোহিতার অভিযোগের বিচার হওয়া উচিত কি না, এ বিষয়ে ভিকে সাক্সেনা (Delhi LG VK Saxena approves sedition case) তাঁর সম্মতি জানালেন ৷
আরও পড়ুন: কেন্দ্র ও সেনার নামে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন শেহলা, গ্রেপ্তারির দাবিতে মামলা
2016 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জেএনইউ-এ একটি অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী বিরোধী (anti-national slogans) স্লোগান দেন শেহলা ৷ সে সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ৷ কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar) ছিলেন সভাপতি ৷ দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অপরাধে কানহাইয়া কুমারকে জেল খাটতে হয়েছিল ৷ কিন্তু শেহলা রশিদ সে যাত্রায় বেঁচে যান ৷ এই সময় তিনি কানহাইয়াকুমার-সহ বাকি পড়ুয়াদের পক্ষে সরব হন ৷ পুলিশের সদর দফতর থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় তিনি বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন ৷
কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ অস্বীকার করে শেহলা রশিদ বিরোধী শিবিরের ছাত্র সংগঠনকে বিপাকে ফেলেন ৷ এর তদন্ত এখনও চলছে ৷ জেএনইউ থেকে পড়াশোনা শেষে তিনি শ্রীনগরের এনআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করেন ৷ এরপর শেহলা পেশাদার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও কাজ করেছেন ৷ তবে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছিলেন ছাত্রনেতা শেহলা রশিদ ৷ কিন্তু সেক্ষেত্রে খুব একটা সফল হননি জেএনইউ ছাত্রী ৷ 2019 সালে কাশ্মীরে 370 ধারা অবলুপ্তির বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর শেহলা রশিদ আন্দোলনে নামেন ৷ এরপর 370 ধারা অবলুপ্তি হয় এবং তখন একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেন জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের নেত্রী ৷