নয়াদিল্লি, 19 ডিসেম্বর: সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্রকে নয়াদিল্লিতে তাঁর সরকারি বাসভবনও খালি করে দিতে বলা হয়েছে ৷ এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি ৷ কিন্তু তাঁর মামলায় মঙ্গলবার কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে রাজি হল না দিল্লি হাইকোর্ট ৷ যেহেতু সাংসদ পদ বহিষ্কার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন মহুয়া, তাই সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার পরবর্তী শুনানির আগে এই নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে দিল্লির উচ্চ আদালত ৷ আগামী 3 জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মহুয়ার মামলার শুনানি হবে ৷ দিল্লি হাইকোর্ট তাই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এই মামলাটি আগামী 4 জানুয়ারি শুনবে ৷
এ দিন মহুয়া মৈত্রের মামলার শুনানি হয় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রণ্যহ্মম প্রসাদের এজলাসে ৷ সেখানে বিচারপতি বলেন, "আপনি একটি রিট পিটিশন দায়ের করে (বহিষ্কারের) আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন । অন্তর্বর্তী আবেদনে আদেশ স্থগিত করার জন্য একটি আবেদন থাকতে পারে । যদি সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়, তাহলে তার মধ্যেই আপনার সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে । আপনি যদি এই আদালতকে (দিল্লি হাইকোর্ট) আদেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন, তাহলে সেটা সরাসরি রিট পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয়ের উপর প্রভাব ফেলবে ।’’
উল্লেখ্য, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে ৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে৷ সংসদে ধ্বনিভোটে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ কার্যকর হয় ৷ এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন তিনি ৷ আগামী 3 জানুয়ারি ওই মামলার শুনানি হবে ৷ এদিকে ডিরেক্টরেট অফ এস্টেট মহুয়া মৈত্রকে তাঁর সরকারি বাসভবন খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ৷
সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের এই নেত্রী ৷ তাঁর হয়ে এ দিন আদালতে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী পিনাকী মিশ্র ৷ তিনি আদালতের কাছে আবেদন করেন যে ওই বাংলোয় মহুয়াকে আগামী 31 মে, 2024 পর্যন্ত থাকতে দেওয়া হোক ৷ কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হলেও তাঁর ভোটে লড়া নিয়ে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই ৷ তাই তিনি এই সময় নিজের নির্বাচনী এলাকায় প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন ৷
মহুয়ার আবেদনে আরও জানানো হয় যে নয়াদিল্লিতে তিনি একা থাকেন ৷ এখানে তাঁর আর কোনও থাকার জায়গা নেই ৷ তাই এখন সরকারি বাসভবন খালি করতে হলে নতুন ঠিকানা খুঁজতে হবে ৷ তার প্রভাব তাঁর নির্বাচনী প্রচারও পড়বে ৷ তাছাড়া মহুয়ার আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন যে পরবর্তী শুনানির আগে ডিরেক্টরট অফ এস্টেটের কাছ থেকে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হোক ৷ যদিও দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই বিষয়টি পরবর্তী শুনানিতে বিবেচনা করা হবে ৷
এ দিন শুনানিতে হাজির ছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল চেতন শর্মা ও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ছিলেন অনুরাগ আলুওয়ালিয়া ৷
আরও পড়ুন: