নয়াদিল্লি, 5 সেপ্টেম্বর: মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন ৷ পরে তাঁর 7 বছরের ছেলে ও 6 বছরের মেয়েকেও খুন করা হয় ৷ এই ঘটনায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিল দিল্লির আদালত ৷ অভিযুক্তরা প্রথমে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে মহিলাকে আঘাত করে ৷ পর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় ৷ ঘটনাটি ঘটে দিল্লির খেয়ালা থানা এলাকায় ৷ মহিলাকে খুনের পর এরপর একে একে খুন হয় দুই দুধের শিশু ৷
2015 সালে নিহত মহিলার স্বামী এফআইআর দায়ের করেন ৷ এই নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল নাবালক-সহ চারজন ৷ এই ঘটনায় বিশেষ ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক 302 (খুন) ও 120 বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় শাহিদ,আক্রম, রাফাত আলি ওরফে মঞ্জুর আলিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ৷ তবে সমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছে নাবালক ৷
এছাড়াও গণধর্ষণ ও ডাকাতির অপরাধে ওই তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৷ সঙ্গে প্রত্যেক আসামীকে 35 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ গত 22 অগস্ট অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত ৷ এরপর সাজা ঘোষণা স্থগিত রাখা হয় ৷ আদালত জানিয়েছে, তিন আসামী শাহিদ, রাফাত আলি ও আকরাম এই মামলায় ষড়যন্ত্র করেছিল ৷
ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তরা একের পর এক দিল্লি ছেড়ে চলে যায় ৷ তারপর 22 অগস্ট তারা আলিগড়ে দেখা করে ৷ সেখানেই চুরির টাকা ভাগ বাটোয়ারা হয় ৷ এই তিনজনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর তাদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি তদন্তে উঠে আসে ৷ সমস্ত তথ্যপ্রমাণ, সাক্ষী ও কল রেকর্ড পর্যালোচনা করে বিচারক এই রায় দেন ৷
আরও পড়ুন : চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা অভিযুক্তের