ETV Bharat / bharat

হায়দরাবাদে কাজে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বনগাঁর যুবকের , খুনের অভিযোগ - dead body of a man

হায়দরাবাদে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বনগাঁর যুবকের । জোর করে রাজমিস্ত্রির কাজে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ মৃত যুবকের পরিবারের । তদন্তে বনগাঁ থানার পুলিশ ।

মৃত যুবক কেনারাম ভট্টাচার্য
মৃত যুবক কেনারাম ভট্টাচার্য
author img

By

Published : Mar 14, 2021, 10:53 PM IST

বনগাঁ , 14 মার্চ : হায়দরাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বনগাঁর এক যুবকের । মৃতের নাম কেনারাম ভট্টাচার্য (20) । রবিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে যুবকের দেহ বনগাঁর বাড়িতে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা । অ্যাম্বুলেস আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,"ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই যুবকের দেহ জোর করে হায়দরাবাদ থেকে বনগাঁ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । আর তাতেই খুনের তত্ত্ব জোরালো হয়েছে ।" খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বনগাঁ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ।

আরও পড়ুন : ডান কাঁধের পিছনে গেঁথে ছুরি, সফল অস্ত্রোপচার প্রাণরক্ষা এক ব্যক্তি

প্রসঙ্গত , মাস খানেক আগে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন ওই যুবক । বাড়ি বনগাঁর কালোপুরের জিয়ালা গ্রামে । পরিবারের তরফে জানানো হয়, পাড়ার পরিচিত ভীম নামে এক যুবক জোর করে হুমকি দিয়ে কেনারামকে হায়দরাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে নিয়ে যায় । তিনদিন আগে ওই যুবক বাড়িতে ফোন করে জানায়, কাজের জায়গায় তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে । পরিবারের কাছে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদনও জানায় সে । মৃতের মায়ের অভিযোগ, সেই সময় পাড়ার পরিচিত ভীম নামে এক ব্যক্তি ফোনে কুড়ি হাজার টাকা দাবি করে যুবকের পরিবারের কাছে । ওই টাকা না দিলে ওই যুবককে ছাড়া হবে না বলে হুমকিও দেয় সে । এরপরই শনিবার সকালে হায়দরাবাদে ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের । ফলে, এই ঘটনার সঙ্গে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন মৃতের পরিবার । তাঁরা নিশ্চিত, যুবককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । খুনের তত্ত্ব ধামাচাপা দিতেই দেহ তড়িঘড়ি হায়দরাবাদ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । এমনই অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার ।

আরও পড়ুন : হাসপাতালের গাছের তলায় সন্তানের জন্ম, এলো না চিকিৎসক কিংবা নার্স

ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ রবিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে বনগাঁর বাড়িতে পৌঁছলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারসহ এলাকার বাসিন্দারা । পরে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । এই বিষয়ে মৃতের সহকর্মী ও এলাকার বাসিন্দা গণেশ দাস বলেন,"কর্মস্থলে ঠিকাদার ও ফোরম্যান ভীমের সঙ্গে গন্ডগোল চলছিল কেনারামের । ওঁকে মারধরও করা হত সেখানে । আমাকে সব কথা জানিয়েছিল সে । মারধরের হাত থেকে বাঁচতে সে কয়েকবার বাড়ি ফেরার বন্দোবস্তও করে ফেলেছিল । কিন্তু কোনও কারণে তখন বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়নি । কাজে না যাওয়ায় শনিবার সকালে খোঁজ নিতে এসে দেখি বাড়ির ভিতর ঝুলছে ওর দেহ । তখন দেহ নামিয়ে জোর করে ঠিকাদার ও ভীম ওর মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা করিয়ে দেয় আমার কাছে । ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কেন দেহ পাঠানো হচ্ছে একথা জিজ্ঞাসা করতেই মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুজনে । ফলে, বাধ্য হয়ে দেহ বনগাঁর বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে হয় ।"

হায়দরাবাদে কাজে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বনগাঁর যুবকের

আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতেই দেহ তড়িঘড়ি গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন মৃতের সহকর্মী । মৃতের মা দুলালী ভট্টাচার্য বলেন, "আমার ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । খুনের সঙ্গে ভীম ও তাঁর সাগরেদরা জড়িয়ে রয়েছে । আমি চাই পুলিশ ঘটনার তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক"। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টি খুন না আত্মহত্যা তা পরিষ্কার হয়ে যাবে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।

বনগাঁ , 14 মার্চ : হায়দরাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল বনগাঁর এক যুবকের । মৃতের নাম কেনারাম ভট্টাচার্য (20) । রবিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে যুবকের দেহ বনগাঁর বাড়িতে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা । অ্যাম্বুলেস আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা । বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ,"ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই যুবকের দেহ জোর করে হায়দরাবাদ থেকে বনগাঁ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । আর তাতেই খুনের তত্ত্ব জোরালো হয়েছে ।" খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বনগাঁ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ।

আরও পড়ুন : ডান কাঁধের পিছনে গেঁথে ছুরি, সফল অস্ত্রোপচার প্রাণরক্ষা এক ব্যক্তি

প্রসঙ্গত , মাস খানেক আগে রাজমিস্ত্রির কাজের জন্য হায়দরাবাদে গিয়েছিলেন ওই যুবক । বাড়ি বনগাঁর কালোপুরের জিয়ালা গ্রামে । পরিবারের তরফে জানানো হয়, পাড়ার পরিচিত ভীম নামে এক যুবক জোর করে হুমকি দিয়ে কেনারামকে হায়দরাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে নিয়ে যায় । তিনদিন আগে ওই যুবক বাড়িতে ফোন করে জানায়, কাজের জায়গায় তার উপর অত্যাচার করা হচ্ছে । পরিবারের কাছে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসার আবেদনও জানায় সে । মৃতের মায়ের অভিযোগ, সেই সময় পাড়ার পরিচিত ভীম নামে এক ব্যক্তি ফোনে কুড়ি হাজার টাকা দাবি করে যুবকের পরিবারের কাছে । ওই টাকা না দিলে ওই যুবককে ছাড়া হবে না বলে হুমকিও দেয় সে । এরপরই শনিবার সকালে হায়দরাবাদে ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় যুবকের । ফলে, এই ঘটনার সঙ্গে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন মৃতের পরিবার । তাঁরা নিশ্চিত, যুবককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । খুনের তত্ত্ব ধামাচাপা দিতেই দেহ তড়িঘড়ি হায়দরাবাদ থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । এমনই অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার ।

আরও পড়ুন : হাসপাতালের গাছের তলায় সন্তানের জন্ম, এলো না চিকিৎসক কিংবা নার্স

ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ রবিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে বনগাঁর বাড়িতে পৌঁছলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারসহ এলাকার বাসিন্দারা । পরে পুলিশ এসে ময়নাতদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় । এই বিষয়ে মৃতের সহকর্মী ও এলাকার বাসিন্দা গণেশ দাস বলেন,"কর্মস্থলে ঠিকাদার ও ফোরম্যান ভীমের সঙ্গে গন্ডগোল চলছিল কেনারামের । ওঁকে মারধরও করা হত সেখানে । আমাকে সব কথা জানিয়েছিল সে । মারধরের হাত থেকে বাঁচতে সে কয়েকবার বাড়ি ফেরার বন্দোবস্তও করে ফেলেছিল । কিন্তু কোনও কারণে তখন বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়নি । কাজে না যাওয়ায় শনিবার সকালে খোঁজ নিতে এসে দেখি বাড়ির ভিতর ঝুলছে ওর দেহ । তখন দেহ নামিয়ে জোর করে ঠিকাদার ও ভীম ওর মৃতদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা করিয়ে দেয় আমার কাছে । ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কেন দেহ পাঠানো হচ্ছে একথা জিজ্ঞাসা করতেই মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুজনে । ফলে, বাধ্য হয়ে দেহ বনগাঁর বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে হয় ।"

হায়দরাবাদে কাজে গিয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বনগাঁর যুবকের

আসল ঘটনা ধামাচাপা দিতেই দেহ তড়িঘড়ি গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন মৃতের সহকর্মী । মৃতের মা দুলালী ভট্টাচার্য বলেন, "আমার ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । খুনের সঙ্গে ভীম ও তাঁর সাগরেদরা জড়িয়ে রয়েছে । আমি চাই পুলিশ ঘটনার তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক"। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টি খুন না আত্মহত্যা তা পরিষ্কার হয়ে যাবে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.