লখনউ, 13 মে : এতদিন নদীতে ভাসছিল সার সার মৃতদেহ ৷ এবার গঙ্গার চর থেকে উদ্ধার হল একাধিক দেহ ৷ বালির চরে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল দেহগুলিকে ৷ ঘটনাস্থল সেই উত্তরপ্রদেশ ৷ উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের দু'টি জায়গা থেকে মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করা হয় ৷ উন্নাওয়ের জেলাশাসকের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷
করোনা পরিস্থিতি দিনদিন ভয়ংকর হচ্ছে ৷ দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে ৷ হাসপাতালগুলিতে বেড নেই ৷ অক্সিজেনের অভাব ৷ প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে মানুষের চোখের ঘুম উড়েছে বলা চলে ৷ সেইসঙ্গে আরও একটি বিষয় দেশজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে ৷
কখনও উত্তরপ্রদেশ, কখনও বিহার ৷ নদীতে ভেসে উঠছে সার সার মৃতদেহ ৷ গত চার-পাঁচদিন ধরে এই একটা খবরে সকলের ঘুম কেড়েছে ৷ দেহগুলি কোভিড রোগীর বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি ৷ এর ফলে গঙ্গা নদীতে দূষণ হচ্ছে বাড়তি আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে ৷ এর থেকে করোনা আরও ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের এই পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরাও সরব হয়েছে ৷ একাধিকবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির রোষের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
আরও পড়ুন, অগস্টের মধ্যে তৈরি হবে 10 কোটি কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন হবে 7.8 কোটি
বিষয়টি থিতিয়ে যেতে না যেতেই আরও একটা খবর ৷ এবার নদী নয় ৷ গঙ্গার চরে পুঁতে দেওয়া একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ এই বিষয়ে জেলাশাসক রবীন্দ্রকুমার বলেন, "কয়েকজন লোক মৃতদেহ না পুড়িয়ে নদীর চরে বালিতে পুঁতে দিচ্ছে । আমি এই তথ্য পাওয়ার পরে ঘটনাস্থলে আমার কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি । এই বিষয়ে তদন্ত হবে ৷ আমরা এর যথাযথ ব্যবস্থা নেব ৷" তবে দেহগুলি করোনা রোগীর কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানানো হয়নি ৷
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানাচ্ছেন, এখানে যত শব আসে তার মধ্যে 75 শতাংশ পোড়ানো হয় ৷ আর বাকিদের বালিতে পুঁতে দেওয়া হয় ৷ কাঠের ঘাটতি থাকার কারণে দেহগুলি এভাবে চরে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে ৷ অনেকের মতে, কর্তৃপক্ষ শেষকৃত্যের কোনও ব্যবস্থা করছে না ৷ দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে ৷ এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে ৷