ধরমশালা, 31 অক্টোবর: গুজরাতে সেতু ভেঙে (Gujarat Bridge Collapse) শতাধিক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় মর্মাহত বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama) ৷ ঘটনার পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকে (Bhupendra Patel) চিঠি লেখেন তিনি ৷ সেই চিঠিতে রবিবার রাতের ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন দলাই লামা ৷ ঘটনায় মৃতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি ৷ একইসঙ্গে, আহতদের দ্রুত সেরে ওঠার জন্যও তিনি প্রার্থনা করছেন বলে জানিয়েছেন ৷
সূত্রের দাবি, ওই চিঠিতে তিব্বতী ধর্মগুরু লিখেছেন, মৃতদের আপনজনেরা যাতে এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে পারেন, ঈশ্বর যাতে তাঁদের সেই শক্তি দেন, তিনি সেই প্রার্থনা করবেন ৷ প্রসঙ্গত, এর আগে হ্যালোইন পার্টি চলাকালীন দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয় ৷ সেই সময় দলাই লামা লিখেছিলেন, "এই ঘটনা যেন একটি বিপর্যয় ৷ যা আমাদের সকলের উপর নেমে এসেছে ! ভবিষ্যতে যাতে আর কখনও এমন ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই আমি আশা করছি ৷"
আরও পড়ুন: মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে, 35 সেকেন্ডেই সব শেষ
রবিবার সন্ধে সাড়ে 6টা নাগাদ গুজরাতের মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীর উপর শতাব্দী প্রাচীন একটি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, এই ঘটনায় কমপক্ষে 140 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আহত হয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ ৷ স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিটিশ আমলে এই সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল ৷ সদ্য সেটি মেরামত করা হয় ৷ তার জন্য খরচ হয় 2 কোটি টাকা ৷ সংস্কারের কাজ চলাকালীন সেতুটি প্রায় 6 মাস বন্ধ রাখা হয় ৷ দুর্ঘটনার মাত্র চারদিন আগেই সেতুটি খোলা হয়েছিল ৷
এ নিয়ে ইতিমধ্য়েই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ৷ একটি সূত্রের দাবি, ফিট সার্টিফিকেটের তোয়াক্কা না করেই নাকি সেতুটি সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল ! দুর্ঘটনার সময় ওই সেতুতে কয়েকশো মানুষ ছিলেন ৷ এই ঘটনা পরম্পরায় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে ৷ কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷