জগৎসিংহপুর (ওড়িশা), 25 মে : বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় "যশ"-এর গতিপথ উত্তর, উত্তর পশ্চিম দিকে ঘুরেছে আর আগামী বারো ঘণ্টার মধ্যেই তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও বিধ্বংসী হয়ে উঠবে ৷ আইএমডি-র তরফে ওডিশা আর পশ্চিমবঙ্গের জন্য ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ৷ ওড়িশার জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সমুদ্র উপকূল আর ঝড়ের গতিপথে থাকা জায়গাগুলি থেকে মানুষদের সরিয়ে জগৎসিংহপুর জেলার একটি অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে নিয়ে আসার কাজ শুরু করে দিয়েছে ৷
মৌসম ভবন জানিয়েছে, 26 মে দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড় পারাদ্বীপ আর সাগর দ্বীপ অতিক্রম করে ওড়িশার উত্তরে বালাসোরে আছড়ে পড়তে পারে ৷ এই সময় গতিবেগ থাকবে 155-165 কিমি/ঘণ্টা, ঘূর্ণনের গতিবেগ হতে পারে 185 কিমি/ঘণ্টা ৷ সান্ধুকুদের বাসিন্দা সমীর বলেন, "আমাদের বাড়ি সমুদ্র থেকে 100-200 মিটার দূরে ৷ জেলাপ্রশাসন আমাদের জানায় সাইক্লোন আসছে, তাই পরিবারের 10 জন সদস্য এখানে এসেছি ৷"
আরও পড়ুন : কাল বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যাবে বাংলা থেকেও
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পটনায়েক মানুষদের অনুরোধ করে বলেছেন, "আমরা যখন কোভিড-19-এর সঙ্গে লড়ছি, ঠিক সেই সময় আরেকটি চ্যালেঞ্জ যশ-এর মুখোমুখি আমরা ৷ প্রত্যেকটা জীবন বাঁচানোটাই সবার আগে ৷ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে যাঁদের বাড়ি রয়েছে, তাঁরা জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান ৷"
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, আর আন্দামান নিকোবরের লেফটেনেন্ট গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় কী কী প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয় ৷ এই প্রস্তুতি নিতে নিয়োগ করা হয়েছে বেশ কয়েকজন আইএএস অফিসারকেও ৷