আহমেদাবাদ, 17 মে : শক্তি বাড়িয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে তখতে ৷ এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে 160 কিলোমিটার দূর রয়েছে ৷ খুব সম্ভবত, আজ বিকেলের দিকেই প্রতি ঘণ্টায় 200 কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে গুজরাত উপকূলে ৷
পোরবন্দর, ভাবনগর জেলার মহুভার নিচু এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে ৷ এখানেই তীব্র গতিতে আছড়ে পড়বে তখত ৷ এমনকি ধস নামার সম্ভাবনাও রয়েছে বহু জায়গায় ৷ জুনাগড়, গির সোমনাথ, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, দিউ, পোরবন্দর, দ্বারকা, আমরেলি, রাজকোট ও জামনগরে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে ৷ গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ কোস্টাল গার্ডের তরফে গুজরাতের মৎসজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে এই সময় সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য ৷ যাঁরা সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত ফেরত আসার জন্য বলা হয়েছে ৷
দক্ষিণ আমেদাবাদে প্রতি ঘণ্টায় 120-140 কিমি থেকে 165 কিমি পর্যন্ত হতে পারে এর গতি ৷ অন্যদিকে দেবভূমি দ্বারকা, জামনগর, রাজকোট, মোরবি আর খেদায় মঙ্গলবার ভোরের দিকে গতিবেগ থাকবে 120 কিমি ৷
ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও গুজরাতের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর 54 টি দলকে উপকূলবর্তী নিচু এলাকাগুলিতে পাঠানো হয়েছে ৷ প্রায় দেড় লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
প্রশাসনের তরফে হাসপাতালগুলিও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ করোনা রোগীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় এবং অক্সিজেন পরিষেবা যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে ৷
রবিবার থেকেই প্রবল ঝড়বৃষ্টি চলছে কর্নাটক, কেরালা, গোয়া, মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ৷ গোয়ায় মারা গিয়েছেন দুজন ৷
আরো পড়ুন : কিছুটা স্বস্তি, পরপর দু’দিন নামল করোনা আক্রান্তের গ্রাফ
মনে করা হচ্ছে, 1994-এর পর এটা সবচেয়ে সাংঘাতিক সাইক্লোন ৷ তাই সতর্ক রয়েছে প্রশাসন ৷