সৌরাষ্ট্র, 18 মে: ঘূর্ণিঝড়ের চোখ প্রবল আকারে গুজরাতে ধ্বংসলীলা চালানোর পর এ বার ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেছে তখতে ৷ সৌরাষ্ট্রের দিউ ও উনাতে তাণ্ডব চালিয়ে সোমবার মাঝরাত থেকে তার গতি কমছে ৷ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া দফতর ৷ গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ভেঙে পড়েছে 40,000 গাছ ও 17 হাজার কাঁচা বাড়ি ৷ যদিও এনডিআরএফ-এর দাবি, তখতের জেরে গুজরাতে কারও প্রাণহানি হয়নি ৷
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় শক্তি কমিয়ে 'খুব মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়'-এর আকার নিয়েছে ৷ টুইটে আইএমডি জানিয়েছে, "ঘূর্ণিঝড়ের সম্পূর্ণ চোখ উপকূল পেরিয়ে গিয়েছে ৷ চোখের বাকি অংশ এখন ভূমির দিকে ঢুকছে ৷" এর ফলে ওই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে ৷ সোমবার রাত 9টা নাগাদ দিউ ও উনাতে তাণ্ডব শুরু করে তখতে ৷ তা থামে প্রায় মাঝরাতে ৷
এনডিআরএফ-এর প্রধান এসএন প্রধানের আশা, আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শক্তি অনেকটা কমবে তখতের ৷ বিকেলের পর তা গুজরাতের উপকূলে পৌঁছনোর কথা ৷ তখন এটি নিম্নচাপে পরিণত হবে ৷
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় তখতের তাণ্ডবে মহারাষ্ট্রে প্রাণ গেল 6 জনের
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি জানিয়েছেন, তখতের তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত সেখানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ভেঙে পড়েছে 40,000 গাছ ও 17 হাজার কাঁচা বাড়ি ৷
গুজরাতের ঢোকার আগে মহারাষ্ট্রের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে দিয়ে যায় তখতে ৷ মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় তখতে ৷ নিহত হয়েছেন 6 জন ৷ গুরুতর জখম হয়েছেন আরও 9 জন ৷ কমপক্ষে 447টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । গাছপালা ভেঙে পড়েছে ৷