ভুবনেশ্বর, 3 মে: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ! আগামী 9 মে বঙ্গোপসাগরে একটি গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বুধবার জাতীয় আবহাওয়া দফতর এই আশংকার কথা শুনিয়েছে । যদিও এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ এবং তীব্রতার বিশদ এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি ৷ তবে জানানো হয়েছে যে, এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার নাম দেওয়া হবে মোকা ৷ লোহিত সাগরের বন্দর নগরীর নামানুসারে ইয়েমেন এই নাম প্রস্তাব করেছে ৷
আইএমডি-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন, সংখ্যাসূচক মডেলগুলি থেকে 9 মে-এর কাছাকাছি একটি ঘূর্ণিঝড়ের গঠনের ইঙ্গিত মিলেছে ৷ তবে 7 মে নিম্নচাপ অঞ্চল গঠনের পরে এর গতিবিধি এবং তীব্রতা নির্ধারণ করা যেতে পারে । তবে দেশের উপকূলে বৃষ্টিপাতের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্বাভাস নেই । তবে তিনি জানিয়েছেন, মৎস্যজীবীদের 7 মে থেকে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
আবহাওয়ার এই গতিবিধি দেখে ওড়িশা সরকার ইতিমধ্যেই 18টি উপকূলীয় ও পার্শ্ববর্তী জেলার কালেক্টর এবং 11টি বিভাগের আধিকারিকদের সতর্ক করেছে ৷ বুধবার ওড়িশার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার সত্যব্রত সাহু এ কথা জানিয়েছেন ৷ মৃত্যুঞ্জয় বলেন, 6 মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে এবং এর প্রভাবে 7 মে নাগাদ একই অঞ্চলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে । 8 মে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি ঘনীভূত হতে পারে । তাঁর কথায়, "9 মে-র দিকে কেন্দ্রীয় বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় ঝড়টি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার একটি ভালো সম্ভাবনা রয়েছে । গোটা পরিস্থিতি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ৷"
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে বাংলাও ৷ ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দফতরের একাধিক আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি ৷
গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড়ের পথের ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন বলে উল্লেখ করে, আইএমডি-র ডিজি একটি স্থানীয় টিভি নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন যে, নিম্নচাপ এলাকা তৈরি হওয়ার পরে এর পথ এবং তীব্রতার বিশদ বিবরণ দেওয়া হবে । ওড়িশা উপকূলে সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মহাপাত্র বলেন যে, ওড়িশা বা পূর্ব উপকূলে অন্য কোনও জায়গার জন্য এখনও কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি ।