দিল্লি, 8 জানুয়ারি: ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস বা এনসিসিতে এই মুহূর্তে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন এনসিসি-র প্রধান তরুণকুমার আইচ। তবে এই যুব সংগঠনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। আর এই কথা তিনি জানিয়েছেন এনসিসি-র বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে একই সময়ে কেরালা আদালতে মামলা চলছে লিঙ্গ পরিবর্তন করা এক মহিলার আবেদনের প্রেক্ষিতে। কারণ, তাঁকে ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার কারণে এনসিসি-তে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
1948 সালে তৈরি হয়েছিল এনসিসি অ্যাক্ট। সেই আইন অনুসারেই চলছে এনসিসিতে নিয়োগ। কিন্তু ভবিষ্যতে আইনে পরিবর্তন করা হবে? উত্তরে এনসিসির ডিজি বলেন, "আমার মনে হয় এই সিদ্ধান্ত একেবারে সর্বোচ্চ স্তর থেকে নেওয়া হবে। কারণ, এর সঙ্গে সমস্ত বাহিনীর যোগ রয়েছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারব না। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় স্তরে নিতে হবে।"
অন্যদিকে কেরালা হাইকোর্ট লিঙ্গ পরিবর্তন করা ওই মহিলার মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এনসিসির কাছ থেকে এই বিষয়ে হলফনামা চাওয়া হয়েছে। আর মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একটি শূন্যপদ রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই দেশবাসী পাবে কোভিড-19 ভ্যাকসিন : হর্ষ বর্ধন
কেরালা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন হানি হানিফা নামে একজন। তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করে মহিলা হয়েছেন। আপাতত তিনি তিরুঅনন্তপুরম কলেজের পড়ুয়া। তিনি এনসিসি আইনের 6 নম্বর সেকশনকে চ্যালেঞ্জ করে এই মামলা দায়ের করেছেন। ওই সেকশনের বলেই এই যুব সংগঠনে যুবক ও যুবতিদের নেওয়া হয়।