বারাণসী, 27 অগস্ট: ঘাট ডুবে গিয়েছে, তাই মৃতদেহ সৎকার হচ্ছে সংলগ্ন রাস্তায় ৷ এমনই অবস্থা বারাণসীর হরিশচন্দ্র এবং মণিকর্নিকা ঘাটের ৷ গঙ্গা ও বরুণা নদীতে জল বাড়ায় বারণসীর বেশ কিছু জায়গা এখন জলের তলায় ৷ তার মধ্যে এই দু'টি ঘাটও, যেখানে মৃতদেহ দাহ হয় (Cremations take place on streets terraces as Ghats go under water in Varanasi) ৷
বন্যায় ত্রাণশিবিরের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন ৷ অনেকেই সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লোকসভা কেন্দ্রের এমন বিপর্যয়ে মোদি প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া দুঃস্থদের যথাসম্ভব সাহায্য করেন ৷ বন্যার জল ঢুকেছে নাগওয়া, সামনে ঘাট, মারুথি নগর, কাশীপুরম, রামানাতে ৷ সামনে ঘাটের বাসিন্দা বীরেন্দ্র চৌবে জানালেন, বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করতেই তিনি পরিবারকে গ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছেন ৷ ঘরবাড়ি সামলাতে তিনি রয়ে গিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: বন্যাপ্লাবিত কর্নাটকের কুমুদবতী নদী, গরুর গাড়ি করে পার হল কৃষক পরিবার
পাণ্ডেপুরের হুকুলগঞ্জে থাকেন চন্দ্রকান্ত সিং ৷ তিনি জানালেন হুকুলগঞ্জ এবং নইবস্তি এলাকায় একশোরও বেশি বাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বাড়িতে জল ঢুকে সব নষ্ট হয়েছে ৷ আসি ঘাট থেকে নমো ঘাট পর্যন্ত সবটাই জলের তলায়৷ এতে হরিশচন্দ্র এবং মণিকর্নিকা ঘাটে (rising water level of Ganga and Varuna rivers) আসা দেহগুলিকে কাছের রাস্তায় দাহ করতে হচ্ছে ৷ জায়গা না মেলায় লম্বা লাইন হয়ে যাচ্ছে ৷
সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল 8টা নাগাদ বারাণসীতে গঙ্গার জলস্তর সতর্ক সীমা (Warning mark) 70.262 মিটার ছাড়িয়ে 70.86 মিটারে উঠেছিল ৷ বিপদ সীমা (danger mark) 71.262 মিটার থেকে মাত্র 0.40 মিটার নীচে ৷