কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরাতেও কংগ্রেসের হাত কেন ধরতে হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ( Sitaram Yechury commented about the Tripura assembly election ) । দলের তিনদিনের কেন্দ্রীয় বৈঠক শুরু হয়েছে শনিবার (The central committee of the CPIM )। সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির অফিস প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের এই বৈঠকের প্রথম দিনেই আসন্ন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করা নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন সীতারাম । সূত্রের খবর, তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন এই প্রবীণ নেতা। তিনি জানান, তৃণমূলের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে আবারও ক্ষমতায় কায়েম হতে চায় বিজেপি । সাম্প্রদায়িক শক্তির সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছে । 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরের দখলে ধাক্কা একটি রাজ্য ছিনিয়ে নিয়ে তাদের উপর চাপ বাড়াতে চায় সিপিএম ।
পাশাপাশি দলীয় বৈঠকে জোট-জটিলতার প্রশ্নও উঠে আসে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের জন্য যে পরিমাণ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা সিপিএম করেছে তাতে খুশি নয় হাত শিবির । তারা আরও বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দিতে চায়। আসন সমঝোতা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা কাটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন খোদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বৈঠকের মাঝেই ত্রিপুরা ফিরে গিয়ে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
60 আসনের মধ্যে 13 টি আসন কংগ্রেসকে ও একটি আসন নির্দলকে ছেড়ে বাকি আসনে আগেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয় বামেদের তরফে। কিন্তু, শনিবার কংগ্রেস 17 টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। আর তা নিয়েই ত্রিপুরায় বাম - কংগ্রেস জোট জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই জটিলতা মেটাতেই বাংলা ছেড়ে একদিনেই ত্রিপুরায় ছুটতে হয়েছে মানিককে। রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ও বামফ্রন্ট নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। যে কোনও প্রকারে কাল সোমবারের মধ্যে জটিলতা কাটিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। প্রয়োজনে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি দিল্লির এআইসিসি নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলে শোনা গিয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি যোগাযোগও শুরু করেছেন। শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার 5 ঘণ্টা আগে ফাঁস প্রশ্নপত্র, ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে বিজেপি সরকারকে দুষছে বিরোধীরা