ETV Bharat / bharat

Shraddha Murder Case: শ্রদ্ধার খুনের ঘটনায় প্রেমিক আফতাবের নার্কো টেস্টে অনুমতি আদালতের

শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় তাঁর প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালার নার্কো টেস্টের অনুমতি দিয়েছে আদালত (Court orders narco test for Aaftab Amin Poonawala) ৷ আরও 5 দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে তার ৷

ETV Bharat
Shraddha Walkar Murder Case
author img

By

Published : Nov 17, 2022, 11:05 PM IST

নয়াদিল্লি, 17 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় ধৃত আফতাব পুনাওয়ালার নার্কো টেস্টে বৃহস্পতিবার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির এক আদালত (Court orders narco test for Aaftab Amin Poonawala) ৷ একইসঙ্গে আফতাবকে আরও 5 দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতেও পাঠিয়েছে আদালত ৷ শ্রদ্ধার লিভ ইন পার্টনার আফতাব তাঁকে খুনের কথা ও দেহ 35 টুকরো করার কথা পুলিশকে জানালেও এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা ৷ অভিযুক্তের বক্তব্যেও রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি ৷ শ্রদ্ধার দেহের সমস্ত অংশ, এমনকি মাথাও এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ (narco test of Aaftab Amin Poonawala)৷ হাড়হিম করা দিল্লির এই খুনের ঘটনায় তাই নার্কো টেস্টের মাধ্যমে আফতাবের কাছ থেকে অধরা প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা (Shraddha Walkar murder case)৷

কিন্তু কী এই নার্কো টেস্ট ?

সাধারণত জটিল কোনও কেসের রহস্য সমাধানের জন্য সন্দেহভাজন বা অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষা করা হয় ৷ এই টেস্টে সংস্লিষ্ট ব্যক্তির দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে এক ধরণের ওষুধ প্রয়োগ করা হয় ৷ সাধারণত সোডিয়াম পেন্টোথাল, স্কোপোলামিন, সোডিয়াম অ্যামিথালের মতো ওষুধ প্রয়োগ করা হয় ৷ এরফলে মানুষ অর্ধ-মেতন বা হিপনোটিক স্টেজে চলে যায় ৷

এই ড্রাগগুলি প্রয়োগের ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি লোপ পায় ৷ ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আর সেভাবে থাকে না ৷ ফলে বানিয়ে কথা বলার অবস্থায় থাকে না অপরাধী বা অভিযুক্ত ৷ এই অবস্থায় তদন্তকারীরা ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলে তার অবচেতন মনে যা আগে তাই সে বলে দেয় ৷ ফলে ধরা হয় নার্কো টেস্টে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি কথাই বলছেন (narco test) ৷

আরও পড়ুন: পরিচয় গোপন রাখতে কাটা মুণ্ড ফেলার আগে শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব !

যদি রহস্য উদঘাটনে অন্যান্য প্রমাণ উপযুক্ত না হয়, সেক্ষেত্রে নার্কো টেস্টের কথা ভাবা হয় ৷ নিয়ম অনুযায়ী আদালতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরও অনুমতি প্রয়োজন এই টেস্টের আগে ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও রয়েছে এই নিয়ে ৷ তবে নার্কো টেস্টে বলা অভিযুক্তের বয়ানই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয় না, তার স্বপক্ষে প্রমাণ দাখিল ও পরিস্থিতির বিশ্লেষণও আদালতে করতে হয় তদন্তকারীদের ৷

নার্কো অ্যানালাইসিস এই শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ নার্কো থেকে ৷ যার অর্থ অ্যানাস্থেসিয়া বা অজ্ঞান ৷ এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্নায়ুবিক স্পন্দন, রক্তচাপ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় ৷ প্রয়োজনে অক্সিজেনও দেওয়া হয় ৷ এই পরীক্ষার জন্য শরীরে ওষুধ প্রয়োগের মাত্রা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, বয়সের ওপর ৷

এর আগে 2002 গুজরাত দাঙ্গার তদন্তে, আবদুল করিম লেতগি স্ট্যাম্প পেপার কেলেঙ্কারির ঘটনায়, 2007 নিঠারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়, 26/11 মুম্বই হামলার ঘটনায় আজমল কাসভের ক্ষেত্রে নার্কো টেস্ট হয়েছে ৷

নয়াদিল্লি, 17 নভেম্বর: শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় ধৃত আফতাব পুনাওয়ালার নার্কো টেস্টে বৃহস্পতিবার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির এক আদালত (Court orders narco test for Aaftab Amin Poonawala) ৷ একইসঙ্গে আফতাবকে আরও 5 দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতেও পাঠিয়েছে আদালত ৷ শ্রদ্ধার লিভ ইন পার্টনার আফতাব তাঁকে খুনের কথা ও দেহ 35 টুকরো করার কথা পুলিশকে জানালেও এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা ৷ অভিযুক্তের বক্তব্যেও রয়েছে একাধিক অসঙ্গতি ৷ শ্রদ্ধার দেহের সমস্ত অংশ, এমনকি মাথাও এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ (narco test of Aaftab Amin Poonawala)৷ হাড়হিম করা দিল্লির এই খুনের ঘটনায় তাই নার্কো টেস্টের মাধ্যমে আফতাবের কাছ থেকে অধরা প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা (Shraddha Walkar murder case)৷

কিন্তু কী এই নার্কো টেস্ট ?

সাধারণত জটিল কোনও কেসের রহস্য সমাধানের জন্য সন্দেহভাজন বা অভিযুক্তের নার্কো পরীক্ষা করা হয় ৷ এই টেস্টে সংস্লিষ্ট ব্যক্তির দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে এক ধরণের ওষুধ প্রয়োগ করা হয় ৷ সাধারণত সোডিয়াম পেন্টোথাল, স্কোপোলামিন, সোডিয়াম অ্যামিথালের মতো ওষুধ প্রয়োগ করা হয় ৷ এরফলে মানুষ অর্ধ-মেতন বা হিপনোটিক স্টেজে চলে যায় ৷

এই ড্রাগগুলি প্রয়োগের ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার শক্তি লোপ পায় ৷ ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ আর সেভাবে থাকে না ৷ ফলে বানিয়ে কথা বলার অবস্থায় থাকে না অপরাধী বা অভিযুক্ত ৷ এই অবস্থায় তদন্তকারীরা ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলে তার অবচেতন মনে যা আগে তাই সে বলে দেয় ৷ ফলে ধরা হয় নার্কো টেস্টে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি কথাই বলছেন (narco test) ৷

আরও পড়ুন: পরিচয় গোপন রাখতে কাটা মুণ্ড ফেলার আগে শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব !

যদি রহস্য উদঘাটনে অন্যান্য প্রমাণ উপযুক্ত না হয়, সেক্ষেত্রে নার্কো টেস্টের কথা ভাবা হয় ৷ নিয়ম অনুযায়ী আদালতের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরও অনুমতি প্রয়োজন এই টেস্টের আগে ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও রয়েছে এই নিয়ে ৷ তবে নার্কো টেস্টে বলা অভিযুক্তের বয়ানই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয় না, তার স্বপক্ষে প্রমাণ দাখিল ও পরিস্থিতির বিশ্লেষণও আদালতে করতে হয় তদন্তকারীদের ৷

নার্কো অ্যানালাইসিস এই শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ নার্কো থেকে ৷ যার অর্থ অ্যানাস্থেসিয়া বা অজ্ঞান ৷ এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির স্নায়ুবিক স্পন্দন, রক্তচাপ পর্যবেক্ষণে রাখা হয় ৷ প্রয়োজনে অক্সিজেনও দেওয়া হয় ৷ এই পরীক্ষার জন্য শরীরে ওষুধ প্রয়োগের মাত্রা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা, বয়সের ওপর ৷

এর আগে 2002 গুজরাত দাঙ্গার তদন্তে, আবদুল করিম লেতগি স্ট্যাম্প পেপার কেলেঙ্কারির ঘটনায়, 2007 নিঠারি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়, 26/11 মুম্বই হামলার ঘটনায় আজমল কাসভের ক্ষেত্রে নার্কো টেস্ট হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.