টিকামগড়, 3 সেপ্টেম্বর: মধ্যপ্রদেশের নিওয়ারি জেলার টিকামগড়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক দম্পতির দেহ ৷ তাঁদের চার বছরের শিশু সন্তানের দেহ উদ্ধার হল মেঝে থেকে ৷ প্রতিবেশীরা ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন ৷ ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়নি তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শিশু সন্তানকে মেরে ওই দম্পতি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ৷ তবে কেন ওই দম্পতি চরম পদক্ষেপ নিল, তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
নিওয়ারি জেলার পৃথ্বীপুর থানার অন্তর্গত কেশারিগঞ্জ গ্রামে এই ঘটনায় হতভম্ব প্রতিবেশীরা ৷ জানালার বাইরে থেকে মৃতদেহগুলি ঝুলতে দেখে পুলিশকে তড়িঘড়ি খবর দেন তারাই ৷ মৃত দম্পতির মধ্যে শিশুকন্যার বাবার বয়স 30 বছর এবং মায়ের বয়স 28 বছর বলে জানা গিয়েছে ৷ পৃথ্বীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিকামগড়ে পৌঁছয় ৷ বন্ধ ঘর থেকে চার বছরের শিশু, তার বাবা এবং মায়ের দেহ ঝুলতে দেখেন তারা ৷ শনিবারই স্বামী এবং শিশু সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন নিহত যুবতী ৷ ঘটনাস্থলে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। কেন পরিবারটি এমন কঠোর পদক্ষেপ নিল, তা জানতে তদন্ত চলছে ৷ শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ ৷
এদিকে পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া ৷ প্রতিবেশীরা বলছেন, ওই দম্পতি আর্থিক সমস্যা বা অন্য কোনও সমস্যার কারণে এই পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে, যদিও তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না ৷ এছাড়াও, ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে ৷ এর আগে জুলাই মাসে ভোপালেও একই ঘটনা ঘটেছিল ৷ স্বামী-স্ত্রী তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছিল ৷ সেই ঘটনায় পুলিশ জানায়, ওই দম্পতি তাঁদের সন্তানদের বিষ দেন ও পরে তাঁরা আত্মহত্যা করে। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছিল ৷ তা থেকে জানা যায়, আর্থিক সমস্যার কারণে ওই দম্পতি কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে ছাত্র আত্মহত্যা-মামলায় প্রধান শিক্ষকের 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত