পিলিভিট (উত্তরপ্রদেশ), 3 মে: উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে মহিলাকে গণ-ধর্ষণের অভিযোগ পুলিশ কনস্টেবল এবং তার দাদার বিরুদ্ধে ৷ এমনকি অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে এবং ধর্ম ও পরিচয় লুকিয়ে একাধিকবার সহবাসের অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা ৷ এ নিয়ে তিনি পুলিশের আইজি-র কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ বিষয়টি নিয়ে আইজি রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন পিলভিট পুলিশের কাছে ৷ আর গণধর্ষণ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে পিলভিটের এসপি-কে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন ৷ যার পরেই কোতয়ালি থানায় অভিযুক্ত কনস্টেবল এবং তাঁর দাদার বিরুদ্ধে মামলাদায়ের করা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, পিলভিটের সেহরামউ থানায় কর্মরত ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল ৷ তাঁর বিরুদ্ধে নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন, শামলির বাসিন্দা ওই কনস্টেবলের সঙ্গে তাঁর কয়েকবছর আগে পরিচয় হয় ৷ এর পর দু’জনের মধ্যে একটা সম্পর্কও তৈরি হয় ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, ওই কনস্টেবল তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন ৷ বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে যেতেন তাঁকে ৷ এমনকি এর ফলে 2 বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি ৷ 6 মাস আগে তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে নিউরিয়া থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা ৷
এরই মধ্যে গত 25 জানুয়ারি অভিযুক্ত কনস্টেবল তাঁর সঙ্গে দেখা করেন ৷ এবারেও নির্যাতিতাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শামলিতে দাদার কাছে নিয়ে যান ৷ অভিযোগ সেখানে তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল এবং তাঁর দাদা একাধিকবার ধর্ষণ করেন ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে ৷ পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত কনস্টেবল এই মুহূর্তে ছুটিতে বাড়ি গিয়েছেন ৷ পুলিশ ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: ফেবু থেকে প্রেম, বিয়ের তারিখ পাকা হতেই উধাও প্রেমিক !
নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন, সম্প্রতি তিনি অভিযুক্তকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন ৷ তখনই বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওই কনস্টেবল ৷ এমনকি তিনি যে নিজের ধর্ম ও পরিচয় লুকিয়ে ছিলেন, সেটাও জানতে পারেন নির্যাতিতা ৷ এ নিয়ে দিনচারেক আগে তিনি আইজি-র সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানান ৷ অভিযোগের সংবেদনশীলতাকে মাথা রেখে আইজি পিলভিট পুলিশকে পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে নির্দেশ দেন এবং এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন ৷