তেলাঙ্গানা, 1 এপ্রিল: নাবালিকার সম্মতিতে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হলেও তা ধর্ষণ হিসেবেই গৃহীত হবে (Consensual Sex with a minor is considered as a rape)৷ জানাল তেলাঙ্গানা হাইকোর্ট (Telangana High Court)৷
এক প্রতিবেশীর কুকীর্তিতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া এক নাবালিকার (minor raped) গর্ভপাতে অনুমতি দিয়ে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত ৷ 15 বছরের কিশোরীকে ভুল বুঝিয়ে জোর করে তার বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে নিজের যৌন ইচ্ছেপূরণ করে তার প্রতিবেশী ৷ এরপর নিগৃহীতা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তার গর্ভপাতের জন্য তাকে নিয়ে নিলুফার হাসপাতালে যান তাঁর মা ৷ তবে আদালতের নির্দেশ ছাড়া তারা গর্ভপাত করবে না বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷
এরপর তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নাবালিকার মা ৷ আদালত জানায়, 15 বছরের কিশোরী গর্ভবতী হওয়ায় তাঁকে নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে ৷ হাইকোর্টের যুক্তি, ওই নাবালিকা যদি স্বেচ্ছায় তার প্রতিবেশীর সঙ্গে গিয়ে থাকে, যদি এটি সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্ক স্থাপনও হয়ে থাকে, তবুও এটিকে ধর্ষণ হিসেবেই ধরা হবে ৷
আরও পড়ুন: Matia Rape Case : পাঁচদিন পর মাটিয়া ধর্ষণ-কাণ্ডে নমুনা সংগ্রহ ফরেন্সিক দলের, উঠছে প্রশ্ন
তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের (Consensual Sex with a minor is rape) বক্তব্য, "অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা সম্মানের সঙ্গে বাঁচার অধিকার হারাবে, গর্ভবতী হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়বে তার উপর ৷ ধর্ষণের কারণে অপ্রত্যাশিত প্রেগন্যান্সি নির্মূল করা যেতে পারে ৷ তবে তার আগে আমাদের ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতে হবে ৷ 20 মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যেহেতু তার আদালতে আসা সম্ভবপর নয়, তাই নিলুফার হাসপাতালের সুপারকে নিজের মতামত জানাতে পারে সে ৷ তার ও তার মায়ের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলা উচিত সুপারের ৷ গর্ভপাত করা যাবে কি না, সবদিক খতিয়ে দেখে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ৷ যদি দু‘পক্ষই রাজি থাকে, তাহলে আর বিলম্ব না করে গর্ভপাত করে ফেলতে হবে ৷"
বাঞ্জারা হিলসের বাসিন্দা বছর 15-র কিশোরী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে ৷ সে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত ৷ তার 26 বছরের প্রতিবেশীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ ৷ সে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা ৷ নভেম্বর মাসে ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য নাবালিকার বাড়িতে গিয়েছিল সেই যুবক ৷ সে মেয়েটির মাকে দিদি বলে সম্বোধন করত ৷ রোজ মেয়েটির বাবা-মা যখন কাজে যেত, তখন জোর করে সেই কিশোরীকে বাড়ি থেকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত সেই যুবক ৷ এই ভাবে সে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করেছে সেই নাবালিকার ৷ মেয়েটি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিল, তাই কারওকে কিছু জানাতে পারেনি ৷
কিছুদিন পর বিষয়টি সে বাবা-মাকে জানায় ৷ তার শারীরিক কিছু সমস্যাও ধরা পড়ে ৷ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা জানান যে, সেই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা ৷ পুলিশ পক্সো ধারায় মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ৷