নয়াদিল্লি, 22 এপ্রিল : দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দলটির দেহ একই থাকুক, শুধু আত্মার বদল হোক ৷ অর্থাৎ পুনর্জন্ম হোক কংগ্রেসের, মত ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ৷ দলটাকে পুরোপুরি ভেঙে নতুন করে গড়া এবং সঙ্গে সঙ্গে দলের গণতন্ত্রীকরণ, পরিকল্পনা পিকে-র ৷ যিনি তৃণমূল কংগ্রেসেরও ভোট-কুশলী (PK plan 2.0 for the revival of the Congress ahead of the 2024 national elections) ৷
লক্ষ্য 2024 ৷ দেশের মূলধারার রাজনীতিতে ফের চাঙ্গা হবে কংগ্রেস ৷ এই লোকসভা নির্বাচনে দেশের 543টি আসনের মধ্য়ে 370টিতে কংগ্রেস একা লড়বে ৷ উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো দু'টি বড় রাজ্য থেকে কংগ্রেস লোকসভায় 120টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে ৷ তবে তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট বাঁধবে হাত চিহ্ন (Congress needs old body but new soul in 2024 PK) ৷
1984 থেকে 2019, দেশের রাজনীতিতে ক্রমাগত গুরুত্ব হারিয়েছে কংগ্রেস ৷ প্রাচীন দলটি তার উত্তরাধিকার, কৃতিত্ব ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারেনি ৷ পরিকাঠামোগত দুর্বলতা এবং জনসংযোগের অভাব এর জন্য অনেকটাই দায়ী ৷ তাই দলটিকে ঢেলে সাজিয়ে পিকে-র ভাবনা একটাই, '2024-এ ভারত জয়' ৷
আরও পড়ুন : Sonia-PK Meeting : তৃতীয় বার বৈঠকে বসছেন সোনিয়া-প্রশান্ত কিশোর
সোনিয়া গান্ধি (All India Congress Committee, AICC) এআইসিসি-র সভানেত্রী যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন ৷ কংগ্রেসের সংসদীয় দলে (Congress Parliamentary Party, CPP) নেতৃত্ব দেবেন রাহুল গান্ধি ৷ বর্তমানে সোনিয়া গান্ধি সিপিপি-র নেত্রী ৷
তবে দল থেকে পরিবারতন্ত্রের তকমা হঠাতে শীর্ষ নেতৃত্বে এমন কাউকে নিযুক্ত করা দরকার, যে গান্ধি পরিবারভুক্ত নয় ৷ তাই সহ-সভাপতির আসনের জন্য তেমন কাউকে বেছে নেওয়া উচিত ৷ বিশেষত দেশের সবচেয়ে পুরনো এই দলটির বিরুদ্ধে বারে বারে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ এনেছে গেরুয়া শিবির ৷ তাদের চুপ করাতে এই পদক্ষেপের ভাবনা প্রশান্ত কিশোরের ৷
দলে নতুন করে শক্তি সঞ্চার করতে কংগ্রেসের ভিত যে নীতিগুলির উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন ৷ দলীয় নেতাদের সেনাবাহিনী হবে একেবারে তৃণমূল স্তরের মানুষদের নিয়ে ৷ নতুন কংগ্রেস জনগণের জন্য হবে, তাদের মূল্যবোধ ও নীতিগুলির রক্ষাকর্তা ৷ এমন অনেকে আছেন, যাঁরা কংগ্রেস ভাঙিয়ে খাচ্ছেন, কিন্তু তাঁরাই কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন ৷
আরও পড়ুন : Sonia-PK Meeting on Gujarat Poll : গুজরাতের ভোট নিয়ে সোনিয়ার ডাকা কংগ্রেসের বৈঠকে হাজির প্রশান্ত কিশোর
এছাড়া কংগ্রেসের জোটসঙ্গী কে হবে, কে হবে না, সেই দোলাচল কাটিয়ে ওঠা, স্বজনপোষণের বিরোধিতা, নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সব স্তরের সাংগঠনিক নেতৃত্বকে পুনর্গঠন করা ৷ দলের সব পদ, এমনকি কংগ্রেস সভাপতি এবং কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদ এবং সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে ৷ দলের একেবারে নিচুস্তরের জন্য 15 হাজার নেতাকে চিহ্নিত করে নিয়োগ করা এবং ভারতজুড়ে 1 কোটি সক্রিয় কর্মী সবসময় তৈরি থাকবে ৷