বেঙ্গালুরু, 20 মে: ঘৃণাকে হারিয়ে ভালোবাসাকে জেতাতে চান, ভারত জোড়ো যাত্রায় বারবার এই কথা শোনা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির মুখে ৷ কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়কেই এই তত্ত্ব দিয়েই ব্যাখ্যা করেছেন তিনি ৷ তাই কংগ্রেসও দ্রুত কর্ণাটকবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে বলে শনিবার তিনি জানিয়েছেন ৷
এ দিন কর্ণাটকে কংগ্রেসের সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল ৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়া, উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ডি কে শিবকুমার-সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী শপথ নেন ৷ বেঙ্গালুরুর কান্তিভারা স্টেডিয়ামে ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ শপথের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘ঘৃণাকে শেষ করে ভালোবাসা জিতেছে ৷’’
রাহুল গান্ধি বলেন, ‘‘কংগ্রেস গরিব, দলিত, আদিবাসী, ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পাশে দাঁড়িয়েছিল বলে জিতেছে ৷ আমরা সত্যের সঙ্গে ছিলাম ৷ তাই গরিবরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন ৷ বিজেপির কাছে টাকা, পুলিশ ও সবকিছু ছিল ৷ তার পরও কর্ণাটকের মানুষ তাদের সবশক্তিকে হারিয়ে দিয়ে কংগ্রেসকে জিতেয়েছে ৷’’
এবারের নির্বাচনে জিতলে কর্ণাটকের বাসিন্দাদের জন্য পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস ৷ ভোটে জিতলে ওই প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করা হবে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয় ৷ এ দিনের ভাষণে সেই প্রসঙ্গও তোলেন রাহুল ৷
রাহুলের কথায়, ‘‘আমরা আপনাদের জন্য পাঁচটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ৷ আমি বলেছিলাম যে আমরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিই না ৷ আমরা যা বলি তা করে দেখাই ৷ মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই পাঁচটি প্রতিশ্রুতি আইনে পরিণত হবে ৷’’
প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের দেওয়া পাঁচটি প্রতিশ্রুতি হল - গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প চালু করে প্রতিটি পরিবারের প্রধান মহিলা সদস্যকে মাসে 2 হাজার টাকা করে দেওয়া, গৃহজ্যোতি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে 200 ইউনিট করে বিদ্যুতের বিলে ছাড় দেওয়া, অন্নভাগ্য যোজনায় দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবারকে প্রতিমাসে বিনামূল্যে 10 কেজি চাল দেওয়া, যুবনিধি প্রকল্পে বেকার স্নাতকদের মাসে 3 হাজার টাকা ও ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকা বেকারদের মাসে দেড় হাজার টাকা আগামী দু’বছরের জন্য দেওয়া (বয়সসীমা 18 থেকে 25), শক্তি প্রকল্পে কর্ণাটকের সরকারি বাসগুলিতে মহিলাদের বিনামূল্যে যাতায়াতের সুযোগ করে দেওয়া ৷