ETV Bharat / bharat

Punjab Congress: ‘চল্লিশ বছরে এমন বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য দেখিনি’, সিধুকে তীব্র আক্রমণ মণীশের - Harish Rawat

দলিত সম্প্রদায় থেকে আসা চরণজিৎকে মুখ করে কংগ্রেস যখন বিধানসভা নির্বাচনের অঙ্ক কষছে, তখন লাগাতার আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছেন সিধু ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন তিনি ৷

Congress leader Manish Tewari attacks Navjot Singh Sidhu
সিধুকে তীব্র আক্রমণ মণীশের
author img

By

Published : Oct 24, 2021, 8:14 PM IST

চণ্ডীগড়, 24 অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়ে গিয়েছে ৷ মিটে গিয়েছে মানভঞ্জনের পালাও ৷ কিন্তু পঞ্জাব কংগ্রেসে অস্থিরতা কিছুতেই কাটছে না ৷ দলের ‘শুদ্ধিকরণ’-এর গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁরাই অভিযোগ নিয়ে সামনে আসছেন ৷ গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই দলের প্রতি তির দেগে চলেছেন ৷ সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি ৷ পঞ্জাব কংগ্রেস এই মুহূর্তে বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্যের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বলে প্রকাশ্যেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি ৷

দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে সনিয়া গান্ধীকে যে বিক্ষুব্ধরা চিঠি লিখেছিলেন, মণীশ তাঁদের মধ্যে অন্যতম ৷ চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত মণীশ । সেই নিয়ে সম্প্রতি মণীশকে নিশানা করেন পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরিশ রাওয়াত । সেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, বাইরে থেকে নিজের মতামত জানানোর আগে পঞ্জাবের পরিস্থিতি বোঝা উচিত মণীশের ৷

আরও পড়ুন:Mann Ki Baat : চাইলে অসাধ্য সাধন করতে পারে ভারত, 100 কোটি টিকাই তার প্রমাণ, ‘মন কি বাত’-এ মোদি

রবিবার সেই নিয়েই হরিশকে নিশানা করেন মণীশ ৷ নাম না করে নভজ্যোত সিং সিধুকেও কার্যত তুলোধনা করেন তিনি ৷ এদিন টুইটারে মণীশ লেখেন, ‘‘অনেক দিন ধরে আপনাকে চিনি হরিশ রাওয়াতজি ৷ আপনাকে যথেষ্ট সম্মানও করি ৷ কিন্তু বর্তমানে পঞ্জাব কংগ্রেসে যে বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, দীর্ঘ চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আগে তা দেখিনি ৷ একজন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রকাশ্যে দলকে অবজ্ঞা করছেন ৷ বাচ্চাদের মতো চুলোচুলি করছেন দলের সদস্যরা ৷ যে ভাষায় পরস্পরকে আক্রমণ করা হচ্ছে, মাছের বাজারেও তা শোনা যায় না ৷’’

সরাসরি কারও নাম না করলেও, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুকেই নিশানা করেছেন মণীশ ৷ কারণ বিজেপি ছেড়ে আসা সিধুর সঙ্গে শুরু থেকেই বিরোধ বেঁধেছে অমরিন্দরের ৷ সিধু এবং তাঁর সহযোগীদের বিদ্রোহের মুখে পড়েই বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে ৷ যাতে কোথাও না কোথাও সিধুকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে ছোট থেকে বড়, পঞ্জাব কংগ্রেসের অনেকেই মুখ খুলেছিলেন ৷

আরও পড়ুন:Poonch Encounter: পুঞ্চে জঙ্গিদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই, জখম 3 নিরাপত্তা কর্মী

তবে তাতেও সমস্যা মেটেনি ৷ দলিত সম্প্রদায় থেকে আসা চরণজিৎকে মুখ করে কংগ্রেস যখন বিধানসভা নির্বাচনের অঙ্ক কষছে, তখন লাগাতার আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছেন সিধু ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন তিনি ৷ তার পর থেকে চরণজিতের নেতৃত্বাধীন নয়া সরকারের বিরুদ্ধেও লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন ৷ রবিবারই টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘পঞ্জাবে আসল সমস্যাগুলির সমাধান আগে করতে হবে, যার উপর প্রত্যেক নাগরিক এবং আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ৷ আমাদের উপর যে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, কী ভাবে তা সামাল দেওয়া হবে ? আমরা আগের মতোই আসল সমস্যাগুলি তুলে ধরব । ধামাচাপা পড়ে যেতে দেব না ।’’

নয়া সরকারের প্রতি সিধুর এই আচরণেরই তীব্র সমালোচনা করেছেন মণীশ ৷ তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘‘আপনাদের কি মনে হয়ে পঞ্জাবের মানুষ এই ডেইলি সোপ দেখে বিরক্ত হচ্ছেন না ? আসল বিড়ম্বনা হল, দল নীতিভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে যাঁরা এত দিন সবথেকে বেশি চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আজ তাঁরাই সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে চলেছেন ৷’’ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ডেকে এত কিছু করার পরেও যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে ইতিহাসও ক্ষমা করবে না বলেও মন্তব্য করেন মণীশ ৷

চণ্ডীগড়, 24 অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়ে গিয়েছে ৷ মিটে গিয়েছে মানভঞ্জনের পালাও ৷ কিন্তু পঞ্জাব কংগ্রেসে অস্থিরতা কিছুতেই কাটছে না ৷ দলের ‘শুদ্ধিকরণ’-এর গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন যাঁরা, তাঁরাই অভিযোগ নিয়ে সামনে আসছেন ৷ গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই দলের প্রতি তির দেগে চলেছেন ৷ সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি ৷ পঞ্জাব কংগ্রেস এই মুহূর্তে বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্যের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে বলে প্রকাশ্যেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি ৷

দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে সনিয়া গান্ধীকে যে বিক্ষুব্ধরা চিঠি লিখেছিলেন, মণীশ তাঁদের মধ্যে অন্যতম ৷ চাপের মুখে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত মণীশ । সেই নিয়ে সম্প্রতি মণীশকে নিশানা করেন পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরিশ রাওয়াত । সেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, বাইরে থেকে নিজের মতামত জানানোর আগে পঞ্জাবের পরিস্থিতি বোঝা উচিত মণীশের ৷

আরও পড়ুন:Mann Ki Baat : চাইলে অসাধ্য সাধন করতে পারে ভারত, 100 কোটি টিকাই তার প্রমাণ, ‘মন কি বাত’-এ মোদি

রবিবার সেই নিয়েই হরিশকে নিশানা করেন মণীশ ৷ নাম না করে নভজ্যোত সিং সিধুকেও কার্যত তুলোধনা করেন তিনি ৷ এদিন টুইটারে মণীশ লেখেন, ‘‘অনেক দিন ধরে আপনাকে চিনি হরিশ রাওয়াতজি ৷ আপনাকে যথেষ্ট সম্মানও করি ৷ কিন্তু বর্তমানে পঞ্জাব কংগ্রেসে যে বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, দীর্ঘ চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আগে তা দেখিনি ৷ একজন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রকাশ্যে দলকে অবজ্ঞা করছেন ৷ বাচ্চাদের মতো চুলোচুলি করছেন দলের সদস্যরা ৷ যে ভাষায় পরস্পরকে আক্রমণ করা হচ্ছে, মাছের বাজারেও তা শোনা যায় না ৷’’

সরাসরি কারও নাম না করলেও, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুকেই নিশানা করেছেন মণীশ ৷ কারণ বিজেপি ছেড়ে আসা সিধুর সঙ্গে শুরু থেকেই বিরোধ বেঁধেছে অমরিন্দরের ৷ সিধু এবং তাঁর সহযোগীদের বিদ্রোহের মুখে পড়েই বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে ৷ যাতে কোথাও না কোথাও সিধুকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে ছোট থেকে বড়, পঞ্জাব কংগ্রেসের অনেকেই মুখ খুলেছিলেন ৷

আরও পড়ুন:Poonch Encounter: পুঞ্চে জঙ্গিদের সঙ্গে তীব্র গুলির লড়াই, জখম 3 নিরাপত্তা কর্মী

তবে তাতেও সমস্যা মেটেনি ৷ দলিত সম্প্রদায় থেকে আসা চরণজিৎকে মুখ করে কংগ্রেস যখন বিধানসভা নির্বাচনের অঙ্ক কষছে, তখন লাগাতার আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছেন সিধু ৷ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন তিনি ৷ তার পর থেকে চরণজিতের নেতৃত্বাধীন নয়া সরকারের বিরুদ্ধেও লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন ৷ রবিবারই টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘পঞ্জাবে আসল সমস্যাগুলির সমাধান আগে করতে হবে, যার উপর প্রত্যেক নাগরিক এবং আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ৷ আমাদের উপর যে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, কী ভাবে তা সামাল দেওয়া হবে ? আমরা আগের মতোই আসল সমস্যাগুলি তুলে ধরব । ধামাচাপা পড়ে যেতে দেব না ।’’

নয়া সরকারের প্রতি সিধুর এই আচরণেরই তীব্র সমালোচনা করেছেন মণীশ ৷ তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘‘আপনাদের কি মনে হয়ে পঞ্জাবের মানুষ এই ডেইলি সোপ দেখে বিরক্ত হচ্ছেন না ? আসল বিড়ম্বনা হল, দল নীতিভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে যাঁরা এত দিন সবথেকে বেশি চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আজ তাঁরাই সবচেয়ে বেশি বিশৃঙ্খলা তৈরি করে চলেছেন ৷’’ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ডেকে এত কিছু করার পরেও যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, তাহলে ইতিহাসও ক্ষমা করবে না বলেও মন্তব্য করেন মণীশ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.