নয়াদিল্লি, 14 অক্টোবর : আগামী বছর পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই দলীয় কোন্দল সামলাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে কংগ্রেস ৷ পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রথমবার হাইকম্যান্ডের সঙ্গে দেখা করলেন নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) ৷ তবে তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলল হাইকম্যান্ড ৷
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে দেখা করেন সিধু ৷ কথা বলেন পঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াতের সঙ্গেও ৷ এর পরই সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি হিসেব কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয় ৷ এ নিয়ে আগামিকাল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে বলেও কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে ৷ এদিন সাংবাদিকদের সিধু বলেন, "হাইকম্যান্ডের সামনে আমরা বক্তব্য রেখেছি ৷ এবার দলের সভাপতি, রাহুল গান্ধি ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধি সিদ্ধান্ত নেবেন ৷ ওদের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে ৷ পঞ্জাবের কথা ভেবে জন্য আমি সব কিছু করতে রাজি ৷"
গত সপ্তাহেই পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন সিধু ৷ বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সিধুর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়েছিল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের। সিধুর নাম পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে আলোচনায় উঠে আসার পর থেকেই তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন অমরিন্দর। পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সিধুকে প্রদেশ সভাপতি হিসাবে মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কংগ্রেস সভাপতির হওয়ার পর অমরিন্দর সিংকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লাগেন সিধু। শেষমেশ অপমানিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং।
আরও পড়ুন : কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই, রাজনীতিই আমার ধর্ম; বললেন সিধু
অমরিন্দরের পর সিধুকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হবে বলে মনে করা হলেও, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চরণজিৎ সিং চন্নিকেই পঞ্জাবের নয়া মুখ্য়মন্ত্রী ঘোষণা করে ৷ নতুন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর গঠিত নয়া মন্ত্রিসভা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সভাপতির পদ থেকে সিধু ইস্তফা দেন ৷ পরে অবশ্য দলীয় নেতাদের অনুরোধে ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত বদলান তিনি ৷