ভোপাল, 4 নভেম্বর: মধ্যপ্রদেশে 39 জনকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস ৷ ওই রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই কংগ্রেস নেতারা দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৷ সেই কারণেই তাঁদের বহিষ্কার করা হল ৷ এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রসের সহ-সভাপতি রাজীব সিং একটি বিবৃতি দিয়েছেন ৷ সেখানে জানানো হয়েছে যে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কমল নাথের নির্দেশে ওই নেতাদের বহিষ্কার করা হল ৷
ওই বিবৃতি অনুযায়ী, যে 39 জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের কেউ কেউ নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৷ আবার অনেকে দল না ছেড়েই বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি), সমাজবাদী পার্টি (এসপি বা সপা) এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-এর হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছেন ৷
যাঁদের বহিষ্কার করা হল, সেই তালিকায় বেশ কয়েকজন আবার হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা হিসেবে পরিচিত ৷ তালিকায় একজন প্রাক্তন সাংসদ ও বেশ কয়েকজন প্রাক্তন বিধায়কের নাম রয়েছে ৷ প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ প্রেমচন্দ গুড্ডু অ্যালট বিধানসভা আসন থেকে দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ৷
এছাড়া প্রাক্তন বিধায়ক অন্তর সিং দরবার (মহৌ-এর প্রার্থী), প্রাক্তন বিধায়ক যদবেন্দ্র সিং (নাগোড়ের প্রার্থী) বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৷ খড়গপুর থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া অজয় সিং যাদবের নামও রয়েছে তালিকায় ৷ তিনি এবার বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্রও ছিলেন ৷ এছাড়া বহিষ্কৃতদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য বলতে আরও দু’টি নাম নাসির ইসলাম ও আমির আকিল ৷ দু’জনেই ভোপাল উত্তর থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন ৷
মধ্যপ্রদেশে আগামী 17 নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচন ৷ ভোটের ফল ঘোষণা আগামী 2 ডিসেম্বর ৷ 230 আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সরকার গড়তে 116 জন বিধায়ক প্রয়োজন ৷ 2018 সালে বিজেপির থেকে এগিয়ে থেকে কংগ্রেস সরকার গড়েছিল ৷ কিন্তু বছর দেড়েকের মধ্যে কংগ্রেস বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে কমল নাথের সরকারের পতন ঘটায় ৷ আবার বিজেপি ক্ষমতায় আসে ৷
2023 সালেও বিজেপি ও কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সম্মুখ-সমরে ৷ এই দুই দলের মধ্যেই মুখোমুখি লড়াই চলছে ৷ বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা করছে ৷ অন্যদিকে কংগ্রেসও বিজেপিকে হারিয়ে মধ্যপ্রদেশের মসনদে আবার বসতে চাইছে ৷
সংবাদসংস্থা - পিটিআই
আরও পড়ুন: 508 কোটি টাকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল, ইডি'র দাবিতে সরগরম ছত্তিশগড়