জয়পুর 22 জুলাই: রাজেন্দ্রা গুধাকে নিয়ে রাজস্থানে রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে উঠেছে ৷ তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে রাজস্থান কংগ্রেস ৷ তাদের বক্তব্য, রাজেন্দ্রকে একাধিক সুযোগ দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে আগেই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল গেহলতের ৷ কিন্তু কংগ্রেসের এই যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি ৷ তাদের পালটা দাবি, প্রকাশ্যে সত্যি বলার খেসারত দিতে হল রাজেন্দ্রকে ৷
রাজেন্দ্র গুধা রাজস্থানে অশোক গেহলতের মন্ত্রিসভায় একাধিক দফতরের দায়িত্বে ছিলেন ৷ এর মধ্যে সৈনিক কল্যাণ দফতরে তিনি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ৷ আর হোম গার্ড ও সিভিল ডিফেন্স, পঞ্চায়েতি রাজ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরেরও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি ৷ রাজস্থান বিধানসভায় যখন কংগ্রেস বিধায়করা মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সরব হন, তখন রাজেন্দ্র রাজস্থানে নারী সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৷
এই নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক ৷ যার জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত ও রাজস্থানের শাসক দল কংগ্রেসকে ৷ ফলে মন্ত্রিসভা থেকে রাজেন্দ্রকে সরিয়ে দেওয়া হয় ৷ এই নিয়ে রাজস্থানে কংগ্রেসের সহ-দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অমৃতা ধাওয়ান বলেন, ‘‘রাজেন্দ্র গুধাকে আগেই মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করা উচিত ছিল ৷ দেবী সীতাকে নিয়ে তিনি আগে যে মন্তব্য করেছিলেন, তাও দল সমর্থন করেনি ৷ কংগ্রেসের অংশ থাকা অবস্থায় তিনি যদি বিজেপির ভাষায় কথা বলেন তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না । তাকে একাধিক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল এবং আগেই বরখাস্ত করা উচিত ছিল..."
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালার দাবি, রাজস্থানে নারীদের আসল অবস্থা নিয়ে সরব হওয়ায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন অশোক গেহলত ৷ রাজেন্দ্র গুধারও দাবি যে সত্যি কথা বলার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷
তিনি বলেন, "আমিই সেই ধরনের ব্যক্তি, যে সবসময় সত্য কথা বলে । আমি আমার বিবেককে অনুসরণ করি । আমি সত্যি কথা বলার জন্য শাস্তি পেয়েছি ।" তাঁর আরও দাবি, "সরকার যখন সংখ্যালঘু হয়ে গিয়েছিল, আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে সরকারকে বাঁচাতে কাজ করেছি ।"
রাজস্থানের রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশ গ্রহণ করেছেন । রাজস্থান রাজভবন থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলত 21 জুলাই সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য রাজেন্দ্র সিং গুধাকে বরখাস্ত করার জন্য রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রের কাছে সুপারিশ করেছিলেন ৷ রাজ্যপাল অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী গেহলতের এই সুপারিশ মেনে নিয়েছেন ৷"
আরও পড়ুন: 'ইন্টারনেট চালু হলে এরকম আরও ঘটনা সামনে আসবে', বিস্ফোরক মণিপুরের সাংসদ