জয়পুর, 25 অক্টোবর: রাজস্থানের বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণের পাশাপাশি জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। বুধবার এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পকে ফাঁপা বলে কটাক্ষ করেন তিনি । একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র নিন্দা করে প্রিয়াঙ্কা দাবি করেছেন তাঁর দল রাজস্থানে ফের ক্ষমতায় এলে প্রতি পরিবারের মহিলাদের বার্ষিক 10 হাজার টাকা সাম্মানিক দেওয়া হবে ৷ বুধবার উপরাষ্ট্রপতির গড়ে দাঁড়িয়ে এমনই প্রতিশ্রুতি দেন প্রিয়াঙ্কা।
এদিন জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা সাফ জানান, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের নেতৃত্বে রাজ্যে কংগ্রেস পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এলে দুটি 'গ্যারান্টি' বা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে । এর মধ্যে এক কোটি পরিবারের জন্য রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার 500 টাকায় দেওয়া হবে । এরই পাশাপাশি প্রতি পরিবারে মহিলা প্রধানকে 10 হাজার টাকা বার্ষিক সাম্মানিক দেওয়া হবে। এদিন ঝুনঝুনু জেলার আরদাওয়াটা গ্রামে প্রিয়াঙ্কার এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ছিল নির্বাচনমুখী রাজস্থানে প্রিয়াঙ্কার দ্বিতীয় জনসভা।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিজেপিকে কটাক্ষ করে জানান, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের সংরক্ষণের জন্য একটি বিল সংসদে ইতিমধ্যেই পাশ হয়েছে । তবে এটি কার্যকর করতে 10 বছর সময় লাগবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, পূর্ব রাজস্থান খাল প্রকল্প (ইআরসিপি) ঘোষণার পর থেকে 10 বছর কেটে গিয়েছে। ইআরসিপি এমন একটি প্রকল্প যা প্রায় দুই লক্ষ হেক্টর এলাকায় সেচের সুবিধা বাড়াতে সাহায্য করবে । পূর্ব রাজস্থানের 13টি জেলার পানীয় জলের সমস্যার সমাধানও হবে বলে জানান প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, "তাদের (কেন্দ্রীয় সরকারের) পরিকল্পনাগুলি ফাঁপা । যেখানে কংগ্রেস সরকারের (রাজস্থানে) প্রকল্পগুলি সত্যি বাস্তবায়িত হচ্ছে ।" তিনি আরও বলেন, "বিজেপি বুঝতে পেরেছে যে ভোটের সময় ধর্ম ও বর্ণ নিয়ে কথা বললে ভোট পাবে। কেন্দ্র মানুষকে দমন করার চেষ্টা করছে। এটি কেবল ক্ষমতায় থাকতে চায় এবং তার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে চায়।"
আরও পড়ুন: নির্বাচনমুখী পাঁচ রাজ্যেই ক্ষমতায় আসবে কংগ্রেস, আত্মবিশ্বাসী খাড়গে
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র কিছু নির্বাচিত শিল্পপতির জন্য চলছে এবং কাজ করছে । এই সরকার জনসাধারণের সমস্যাগুলির প্রতি কোনও মনোযোগ নেই। তিনি বলেন, "আপনাদের বুঝতে হবে কী ধরনের নেতা এবং সরকার চান । এরা নিজেদের ভবিষ্যতের কথাই শুধু ভাবছে এবং যেনতেন প্রকারেণ সরকারে থাকতে চাইছে । যখন নির্বাচন আসে, তখন ধর্মের কথা বলে । কোনও কাজ করার দরকার নেই।" তাঁর দাবি, জনগণকে জেগে উঠতে হবে । না-হলে এই ব্যবস্থা এবং অবস্থার অবসান হবে না।
(পিটিআই)