ETV Bharat / bharat

জলবায়ুতে বিপদসঙ্কেত - ওয়ার্ল্ড ক্লাইম্যাট রিস্ক ইনডেক্স

রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঝাড়খণ্ড, মিজোরাম, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অসম, বিহার, অরুণাচল প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ । মাঝারি থেকে কম অভিঘাতের তালিকায় বহু রাজ্য পড়ছে । যদিও কোনও রাজ্য এবং জেলা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কালো ছায়া এড়াতে পারবে না, কেন্দ্রের রিপোর্টে কয়েকটি রাজ্যের জন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপের তালিকা দেওয়া হয়েছে ।

Climate signals danger
জলবায়ুতে বিপদসঙ্কেত
author img

By

Published : Apr 20, 2021, 11:30 AM IST

যে আমাদের সবকিছু দেয়, সেই প্রকৃতি মায়ের সঙ্গে যথেচ্ছাচার করছে মানবজাতি । পৃথিবীতে আজ যে সমস্ত বড়সড় জলবায়ু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, তার মূলে রয়েছে মানুষের অকৃতজ্ঞ মনোভাব । ভারত বৈচিত্রপূর্ণ জলবায়ুর অধিকারী একটি দেশ । বহুদিন আগে বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে দেশের 68 শতাংশ কৃষিযোগ্য জমি খরাপ্রবণ এবং 5 কোটি হেক্টর জমি বন্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে । দেশে ক্রমশ বাড়তে থাকা প্রাকৃতিক বিপর্যয় বহু ধরণের সামাজিক-অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করছে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়বে এমন অঞ্চলগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছে ।

রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঝাড়খণ্ড, মিজোরাম, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অসম, বিহার, অরুণাচল প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ । মাঝারি থেকে কম অভিঘাতের তালিকায় বহু রাজ্য পড়ছে । যদিও কোনও রাজ্য এবং জেলা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কালো ছায়া এড়াতে পারবে না, কেন্দ্রের রিপোর্টে কয়েকটি রাজ্যের জন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপের তালিকা দেওয়া হয়েছে ।

ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও তাপপ্রবাহের দাপটের ভিত্তিতে তৈরি ওয়ার্ল্ড ক্লাইম্যাট রিস্ক ইনডেক্সে ভারত সপ্তম স্থানে রয়েছে । দেশের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে 1901 থেকে 2018 সালের মধ্যে দেশের গড় তাপমাত্রা 0.7 ডিগ্রি বেড়েছে । যদি ক্রমশ বাড়তে থাকা দূষণকে না কমানো যায়, তাহলে 2040 থেকে 2069 সালের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা 2 ডিগ্রি বেড়ে যাবে । এই প্রেক্ষাপটে বিপর্যয়ের হাত থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে অবিলম্বে একটি অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করা উচিত ।

ভৌগলিক অঞ্চল হিসেবে ভারত বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ । কিন্তু তারা দ্রুত সবথেকে বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ হিসেবে চিনকে পিছনে ফেলে দেবে । এই পরিস্থিতিতে যদি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা এবং খরা হতে থাকে তাহলে মানবজাতির খাদ্য-নিরাপত্তাই সঙ্কটে পড়বে ।

বিশ্বব্যাঙ্কের অনুমান, উত্তর-পূর্ব ভারতে বার বার খরা দেখা দেবে এবং ভবিষ্যতে উত্তর ভারতেও বৃষ্টির ঘাটতি হবে । একই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, 2030 সালের মধ্যে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে প্রায় 700 কোটি ডলারের ক্ষতি হবে এবং 10 শতাংশ মানুষের আয় বহুলাংশে হ্রাস পাবে । যদিও বিপর্যয় মোকাবিলায় যদি সঠিক নীতি প্রণয়ন করা যায়, তবে এই ক্ষতির 80 শতাংশই আটকে দেওয়া সম্ভব ।

2008 সালে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হয়েছিল । এই নীতির আওতায় জল ও কৃষিসহ আটটি ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয় । কিন্তু এতদিনেও কাজের কাজ কিছুই হয়ে ওঠেনি ।

আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ বাইডেনের

সরকারকে ঘুম থেকে এখনই জেগে উঠতে হবে, কারণ জলবায়ু পরিবর্তন দেশের মেরুদণ্ড কৃষিব্যবস্থায় আঘাত হানতে চলেছে । কম সময়ে বড় হওয়া শস্যের পাশাপাশি, জোর দিতে হবে জল সংরক্ষণ, ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ এবং ড্রিপ ইরিগেশনের মতো নতুন প্রযুক্তির উপরেও । উপকূল অঞ্চল রক্ষার ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরি করে এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সফলভাবে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে পারি ।

যে আমাদের সবকিছু দেয়, সেই প্রকৃতি মায়ের সঙ্গে যথেচ্ছাচার করছে মানবজাতি । পৃথিবীতে আজ যে সমস্ত বড়সড় জলবায়ু পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, তার মূলে রয়েছে মানুষের অকৃতজ্ঞ মনোভাব । ভারত বৈচিত্রপূর্ণ জলবায়ুর অধিকারী একটি দেশ । বহুদিন আগে বিজ্ঞানীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে দেশের 68 শতাংশ কৃষিযোগ্য জমি খরাপ্রবণ এবং 5 কোটি হেক্টর জমি বন্যার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে । দেশে ক্রমশ বাড়তে থাকা প্রাকৃতিক বিপর্যয় বহু ধরণের সামাজিক-অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করছে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়বে এমন অঞ্চলগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছে ।

রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ঝাড়খণ্ড, মিজোরাম, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অসম, বিহার, অরুণাচল প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ । মাঝারি থেকে কম অভিঘাতের তালিকায় বহু রাজ্য পড়ছে । যদিও কোনও রাজ্য এবং জেলা এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কালো ছায়া এড়াতে পারবে না, কেন্দ্রের রিপোর্টে কয়েকটি রাজ্যের জন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপের তালিকা দেওয়া হয়েছে ।

ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও তাপপ্রবাহের দাপটের ভিত্তিতে তৈরি ওয়ার্ল্ড ক্লাইম্যাট রিস্ক ইনডেক্সে ভারত সপ্তম স্থানে রয়েছে । দেশের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে 1901 থেকে 2018 সালের মধ্যে দেশের গড় তাপমাত্রা 0.7 ডিগ্রি বেড়েছে । যদি ক্রমশ বাড়তে থাকা দূষণকে না কমানো যায়, তাহলে 2040 থেকে 2069 সালের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা 2 ডিগ্রি বেড়ে যাবে । এই প্রেক্ষাপটে বিপর্যয়ের হাত থেকে নাগরিকদের বাঁচাতে অবিলম্বে একটি অ্যাকশন প্ল্যান কার্যকর করা উচিত ।

ভৌগলিক অঞ্চল হিসেবে ভারত বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ । কিন্তু তারা দ্রুত সবথেকে বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ হিসেবে চিনকে পিছনে ফেলে দেবে । এই পরিস্থিতিতে যদি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা এবং খরা হতে থাকে তাহলে মানবজাতির খাদ্য-নিরাপত্তাই সঙ্কটে পড়বে ।

বিশ্বব্যাঙ্কের অনুমান, উত্তর-পূর্ব ভারতে বার বার খরা দেখা দেবে এবং ভবিষ্যতে উত্তর ভারতেও বৃষ্টির ঘাটতি হবে । একই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, 2030 সালের মধ্যে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে প্রায় 700 কোটি ডলারের ক্ষতি হবে এবং 10 শতাংশ মানুষের আয় বহুলাংশে হ্রাস পাবে । যদিও বিপর্যয় মোকাবিলায় যদি সঠিক নীতি প্রণয়ন করা যায়, তবে এই ক্ষতির 80 শতাংশই আটকে দেওয়া সম্ভব ।

2008 সালে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হয়েছিল । এই নীতির আওতায় জল ও কৃষিসহ আটটি ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয় । কিন্তু এতদিনেও কাজের কাজ কিছুই হয়ে ওঠেনি ।

আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে মোদিকে আমন্ত্রণ বাইডেনের

সরকারকে ঘুম থেকে এখনই জেগে উঠতে হবে, কারণ জলবায়ু পরিবর্তন দেশের মেরুদণ্ড কৃষিব্যবস্থায় আঘাত হানতে চলেছে । কম সময়ে বড় হওয়া শস্যের পাশাপাশি, জোর দিতে হবে জল সংরক্ষণ, ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ এবং ড্রিপ ইরিগেশনের মতো নতুন প্রযুক্তির উপরেও । উপকূল অঞ্চল রক্ষার ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরি করে এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সফলভাবে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে পারি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.