কলকাতা, 16 ডিসেম্বর : চিনের পিপল লিবারেশন আর্মি সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর সামরিক পরিকাঠামো বৃদ্ধি করেই চলেছে । একই সঙ্গে চিন সেনারা সীমানার কাছাকাছি গ্রাম স্থাপন করে সেক্যা গ্রামবাসীদের সেখানে বসতি স্থাপনে সাহায্যও করে চলেছে । এমনই আজ কলকাতাতে জানালেন ভারতীয় স্থলসেনার পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা, লেফটেন্যান্ট জেনেরাল অনিল চৌহান ।
আজ ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানেই পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লেফটেন্যান্ট জেনেরাল চৌহান বলেন, লাদাখ সংঘর্ষের পর স্থলসেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনস্থ অঞ্চলে ভারতীয় এবং চিনা সেনার মধ্যে আর কোনও বড়রকমের সংঘর্ষ বা কোনওরকম অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি ।
তিনি আর বলেন, গ্যালওয়ান উপত্যকার ঘটনা, ভারত ও চিনের মধ্যে এলএসি নিয়ে সমঝোতা এবং পারস্পরিক বিশ্বাস অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে । এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে সময় লাগবে
একইসঙ্গে তিনি বলেন, যে লাদাখ সংকটের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি কিছু সতর্কতামূলক মোতায়েন করেছিল। তবে শীত শুরুর কারণে ইস্যুগুলি এখন পূর্ব সেক্টরে ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।
"তবে, শীতকালে যে কোনও চ্যালেঞ্জকে পরাস্ত করতে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রস্তুত," তিনি জানান।
কথা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আপাতত দ্বিতীয় মাউন্টেন স্ট্রাইক কর্পস গঠনের কোনও পরিকল্পনা নেই সেনাবাহিনীর ।
বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বেড়েছে । বলেন, "আমরা যৌথভাবে মহড়া পরিচালনা করি মাঝেমাঝেই।"