ETV Bharat / bharat

BJP-VHP Leaders Pledge: ছত্তীশগড়ের হিংসার পর মুসলিম-খ্রিস্টানদের বয়কটের শপথ বিজেপি-ভিএইচপি-র ! - ভিএইচপি ও বিজেপি

ছত্তীশগড়ে বেমেতরার হিংসার পর মুসলিম ও খ্রিস্টানদের বয়কট করার শপথ নিয়েছেন একদল ভিএইচপি ও বিজেপি নেতা ৷ এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে ৷

BJP-VHP Leaders Pledge ETv bharat
মুসলিম-খ্রিস্টানদের বয়কটের শপথ বিজেপি-ভিএইচপি-র !
author img

By

Published : Apr 14, 2023, 2:18 PM IST

জগদলপুর\হায়দরাবাদ, 14 এপ্রিল: ছত্তীশগড়ে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সামনে আসছে নতুন সমস্যা । 8 এপ্রিল বেমেতরা হিংসার পরে 10 এপ্রিল ভিএইচপি-র ছত্তীশগড় বনধের সময় জগদলপুরে ভিএইচপি এবং বিজেপি নেতাদের একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে । সেখানে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের অর্থনৈতিক বয়কটের শপথ নিতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া নেতাদের । এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।

কী শপথ নেওয়া হয়েছিল: আমগুড়া চকের কাছে ভিএইচপি এবং বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন । সবাই এক সঙ্গে বলে ওঠেন, তাঁরা মুসলমান ও খ্রিস্টানদের দোকান থেকে কিছু কিনবেন না । দুধ, রেশন, ম্যাট্রেস বা অন্য কোনও জিনিসই কেনা হবে না বলে শপথ নেন তাঁরা ৷ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অহিন্দুদের বয়কট করার অঙ্গীকার করা হয় । শপথ গ্রহণের সময় হিন্দু দোকানদারদের তাঁদের দোকানের বাইরে 'আমি হিন্দু' লেখা সাইনবোর্ড লাগাতে বলা হয়েছে । শপথ গ্রহণের পর জয় শ্রী রামের স্লোগানও ওঠে ।

কারা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন: প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দীনেশ কাশ্যপ, বস্তার পরিবারের সদস্য কমলচন্দ্র ভঞ্জদেব, জেলা সভাপতি রূপ সিং মাণ্ডবী, জগদলপুর কর্পোরেশনের বিরোধী দলের নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে-সহ 70 থেকে 80 জন ভিএইচপি এবং বিজেপি নেতা আমগুড়া চকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জড়ো হন । এতে বিপুল সংখ্যক নারীকেও অংশ নিতে দেখা যায় ।

বিজেপিকে নিন্দা কংগ্রেসের: পিসিসি প্রধান মোহন মারকাম গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন । তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর ভারতীয় জনতা পার্টি বেকায়দায় পড়েছে । ছত্তীশগড়ে ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নামে বিভেদ সৃষ্টির কাজ করছে । দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার রয়েছে । প্রত্যেক নাগরিক তাঁর ধর্ম, সম্প্রদায়, বর্ণের ভিত্তিতে ইবাদত বা উপাসনা করতে পারেন । কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় বিজেপির নির্দেশে বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা নিন্দনীয় । তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।

10 এপ্রিল ছত্তীশগড়ে কেন বনধ: 8 এপ্রিল ছত্তীশগড়ের বেমেতরা জেলার সাজা বিধানসভা কেন্দ্রের বিরানপুর গ্রামে শিশুরা খেলাধুলা করতে করতে মারামারি শুরু করে । ছোটদের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বড়রাও । উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় পাথর ছোড়াছুড়ি । এই বিবাদে মৃত্যু হয় 23 বছরের যুবক ভুনেশ্বর সাহুর । যুবকের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ।

পুরো বিষয়টি সাম্প্রদায়িক রং নেয় । ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর হামলার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে ৷ গ্রামে উত্তেজনার কারণে 144 ধারা জারি করা হয় । বিরানপুরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় ৷ বেমেতরা হিংসার পরে ভিএইচপি 10 এপ্রিল ছত্তীশগড় বনধের ডাক দেয় ৷ সেই বনধে সমর্থন করে বিজেপিও ৷

মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা: বিরানপুরের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করে মৃত ভুনেশ্বর সাহুর পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি এবং 10 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয় । কমিশনারের নেতৃত্বে বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার ।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে ছত্তিশগড়ে জোরালো বিধায়কদের দলবদলের সম্ভাবনা

জগদলপুর\হায়দরাবাদ, 14 এপ্রিল: ছত্তীশগড়ে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই সামনে আসছে নতুন সমস্যা । 8 এপ্রিল বেমেতরা হিংসার পরে 10 এপ্রিল ভিএইচপি-র ছত্তীশগড় বনধের সময় জগদলপুরে ভিএইচপি এবং বিজেপি নেতাদের একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে । সেখানে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের অর্থনৈতিক বয়কটের শপথ নিতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া নেতাদের । এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।

কী শপথ নেওয়া হয়েছিল: আমগুড়া চকের কাছে ভিএইচপি এবং বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন । সবাই এক সঙ্গে বলে ওঠেন, তাঁরা মুসলমান ও খ্রিস্টানদের দোকান থেকে কিছু কিনবেন না । দুধ, রেশন, ম্যাট্রেস বা অন্য কোনও জিনিসই কেনা হবে না বলে শপথ নেন তাঁরা ৷ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অহিন্দুদের বয়কট করার অঙ্গীকার করা হয় । শপথ গ্রহণের সময় হিন্দু দোকানদারদের তাঁদের দোকানের বাইরে 'আমি হিন্দু' লেখা সাইনবোর্ড লাগাতে বলা হয়েছে । শপথ গ্রহণের পর জয় শ্রী রামের স্লোগানও ওঠে ।

কারা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন: প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দীনেশ কাশ্যপ, বস্তার পরিবারের সদস্য কমলচন্দ্র ভঞ্জদেব, জেলা সভাপতি রূপ সিং মাণ্ডবী, জগদলপুর কর্পোরেশনের বিরোধী দলের নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে-সহ 70 থেকে 80 জন ভিএইচপি এবং বিজেপি নেতা আমগুড়া চকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে জড়ো হন । এতে বিপুল সংখ্যক নারীকেও অংশ নিতে দেখা যায় ।

বিজেপিকে নিন্দা কংগ্রেসের: পিসিসি প্রধান মোহন মারকাম গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন । তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর পর ভারতীয় জনতা পার্টি বেকায়দায় পড়েছে । ছত্তীশগড়ে ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নামে বিভেদ সৃষ্টির কাজ করছে । দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার রয়েছে । প্রত্যেক নাগরিক তাঁর ধর্ম, সম্প্রদায়, বর্ণের ভিত্তিতে ইবাদত বা উপাসনা করতে পারেন । কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় বিজেপির নির্দেশে বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে শপথ গ্রহণ করা হচ্ছে, যা নিন্দনীয় । তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।

10 এপ্রিল ছত্তীশগড়ে কেন বনধ: 8 এপ্রিল ছত্তীশগড়ের বেমেতরা জেলার সাজা বিধানসভা কেন্দ্রের বিরানপুর গ্রামে শিশুরা খেলাধুলা করতে করতে মারামারি শুরু করে । ছোটদের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বড়রাও । উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় পাথর ছোড়াছুড়ি । এই বিবাদে মৃত্যু হয় 23 বছরের যুবক ভুনেশ্বর সাহুর । যুবকের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ।

পুরো বিষয়টি সাম্প্রদায়িক রং নেয় । ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর হামলার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে ৷ গ্রামে উত্তেজনার কারণে 144 ধারা জারি করা হয় । বিরানপুরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় ৷ বেমেতরা হিংসার পরে ভিএইচপি 10 এপ্রিল ছত্তীশগড় বনধের ডাক দেয় ৷ সেই বনধে সমর্থন করে বিজেপিও ৷

মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা: বিরানপুরের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে বর্ণনা করে মৃত ভুনেশ্বর সাহুর পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি এবং 10 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয় । কমিশনারের নেতৃত্বে বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার ।

আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে ছত্তিশগড়ে জোরালো বিধায়কদের দলবদলের সম্ভাবনা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.