আগরতলা, 9 জানুয়ারি: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ৷ তার আগে ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) সোমবার রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন ৷ যেখানে ত্রিপুরার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ৷ তারা নির্বাচনে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছে ।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক কিরণ গিত্তে (Chief Electoral Officer Kiran Gitte) সিভিল সেক্রেটারিয়েটের কনফারেন্স হলে এদিন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠকটি ডাকেন । জানা গিয়েছে, নির্বাচনী তালিকার চূড়ান্ত প্রকাশনা, 'মিশন জিরো পোল ভায়োলেন্স' চালু করার মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এদিন আলোচনা হয় । এছাড়া নির্বাচন কমিশনের আসন্ন ত্রিপুরা সফর নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ৷ 11 এবং 12 জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন ত্রিপুরায় আসবে ৷
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের সমস্ত প্রতিনিধিরা অবাধ, সুষ্ঠু ও হিংসামুক্ত নির্বাচন করার পক্ষে ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নেওয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ৷ তবে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য আরও বেশি সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে । সিইও বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিধানসভা নির্বাচন যাতে হয়, তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । এর পর 11 জানুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের নির্বাচন কমিশন বৈঠক করবে ৷
সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সেক্রেটারি জিতেন্দ্র চৌধুরী (CPIM state committee secretary Jitendra Chowdhury) নির্বাচন কমিশন এবং সিইও ত্রিপুরাকে নির্বাচনের আগে সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন নিয়ে সাধুবাদ জানিয়েছেন ৷ তিনি বলেন," গত পাঁচ বছরে একটিও নির্বাচন রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়নি ৷ শুধু আমরাই নই, তৃণমূল, কংগ্রেস, টিপরা মোথা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে । আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন, উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ভোট করার দাবি করেছি । আমরা এটাও বলেছি, সরকারের তরফে প্রথম দিন থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক অফিস জোরপূর্বক দখল, ভাঙা বা ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে ৷ কিন্তু এখন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের করতে হয় তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর মূল কার্যালয় আবার খুলে দিতে হবে । "
আরও পড়ুন: বিজেপির হামলায় ত্রিপুরায় আহত বিধায়ক-সহ 15 জন, অভিযোগ সিপিএমের
প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য ও মুখপাত্র সুব্রত দত্ত বলেন, "আমরা সিইওকে বলেছি যে রাজ্যে শূন্য ভোট সহিংসতা শুরু হয়েছে । তবে ভোট ঘোষণার পরপরই উদয়পুরে কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয়ে আক্রমণ হয় ৷ অনেক কর্মীও সেই আক্রমণের শিকার হন । আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে সিএপিএফ শুধুমাত্র এসটি সংরক্ষিত আসনের জন্য মোতায়েন করা হবে ৷ তাই আমরা রাজ্য জুড়ে সমস্ত আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছি এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবি করেছি ৷"