নয়াদিল্লি, 13 ফেব্রুয়ারি: স্টক মার্কেটের উপর নজরদারি আরও পোক্ত করতে যদি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নতুন কোনও পরিকাঠামো বা ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়, তাতে তাদের কোনও আপত্তি নেই ৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এভাবেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় সরকার (Centre agrees to set Expert Panel on Market Regulatory Mechanism) ৷ উল্লেখ্য, আদানি কাণ্ডের জেরে শীর্ষ আদালতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা (PIL on Adani Row) রুজু করা হয়েছে ৷ তারই প্রেক্ষিতে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, আমজনতার টাকা যাতে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর নিয়ামক ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার ৷ এই বিষয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সোমবার আদালতে সেই বিষয়টিই পরিষ্কার করল কেন্দ্র ৷
এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, এই বিষয়ে যদি কোনও বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়, তাহলে তারা আদালতের কাছে কয়েকটি নাম সুপারিশ হিসাবে পেশ করতে চায় ৷ কিন্তু, বৃহত্তর স্বার্থে সেই নামগুলি মুখবন্ধ খামে জমা করতে চায় কেন্দ্র ৷ সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার ও সেবির প্রতিনিধি হিসাবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ৷ তিনি দাবি করেন, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের (Hindenburg Research Report) জেরে আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে যে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বর্তমান বাজার নিয়ামক সংস্থাগুলির হাতে রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: 'ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি যথেষ্ট অভিজ্ঞ', সেবি-আরবিআইয়ে আস্থা রেখে বললেন নির্মলা
একইসঙ্গে তুষার মেহতা বলেন, "নতুন কোনও কমিটি গঠন করা হলে সরকারের তাতে কোনও আপত্তি নেই ৷ তবে সেই কমিটিতে কাদের নেওয়া হবে সে বিষয়ে আমরা সুপারিশ করতে পারি ৷ একটি মুখবন্ধ খামে আমরা কিছু নাম প্রস্তাব হিসাবে পেশ করতে পারি ৷" পাশাপাশি, তুষার মেহতা এই কমিটি গঠন নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন ৷ তিনি বলেন, এই কমিটি নিয়ে যদি 'ভুলবশত' কোনও বার্তা ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে অর্থের প্রবাহে তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে ৷ প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত আদানি ইস্যুতে দু'টি জনস্বার্থ মামলা তালিকাভুক্ত করেছে শীর্ষ আদালত ৷ আগামী শুক্রবার দু'টি মামলারই একসঙ্গে শুনানি হবে ৷