কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: মূল ভূখণ্ডের প্রগতির সঙ্গে উপত্যকা যাতে পিছিয়ে না-পড়ে সেই ব্যাপারে বাড়তি তৎপরতা এখন কেন্দ্রীয় সরকারের। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা কাশ্মীরের উন্নতির জন্য সাজানো হয়েছে। সেই ভাবনার অঙ্গ হিসেবেই কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ কেন্দ্রের। তারা যাতে নিজেদের বিছিন্ন না-মনে করে সেই জন্য দেশের বিভিন্ন প্রদেশের সংস্কৃতির সঙ্গে উপত্যকার সংস্কৃতির আদান-প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই ভাবনার ফলশ্রুতি হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের বিপথে যাওয়া রুখতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সহায়তায় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের উদ্যোগে জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ, কুপওয়ারা, বারামুল্লা, বদগাম ও পুলওয়ামা জেলা থেকে 120 জন যুবক ও যুবতী আগামী 17 থেকে 22 ডিসেম্বর মধ্যমগ্রামের গঙ্গানগরে ভারত স্কাউট অ্যান্ড গাইডের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। বিনিময় হবে সংস্কৃতিরও। কেন্দ্রীয় সরকারের এই কর্মসূচি রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্তা রাজীব মজুমদার বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "জম্মু ও কাশ্মীরের ছ'টি জেলা থেকে মোট 120 জন যুবক ও যুবতীকে নিয়ে আসা হচ্ছে।"
তাঁর কথা, "একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ছাড়াও কলকাতা ঘুরিয়ে দেখানো হবে ওদের। এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যই হল কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের বিপথে যাওয়া আটকানো।" বঙ্গে এসে কাশ্মীরি যুবারা যেমন তাদের উপত্যকার সংস্কৃতির বার্তা তুলে ধরবেন তেমনই এই রাজ্যের সংষ্কতির সঙ্গে পরিচয় ঘটানোর ব্যবস্থা হবে বলে জানানো হয়েছে। এমনকী খাদ্যমেলাও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলার খেলাধূলার জগতে কাশ্মীরের যুবকদের অংশগ্রহণ নতুন নয়। বিশেষ করে ফুটবলের দুনিয়ায় কাশ্মীরি ফুটবলাররা বাংলার ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছেন। মাস্তান আহমেদ, ইসফাক আহমেদ, মেহেরাজউদ্দিন ওয়াডু তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান স্পোর্টিংয়ে খেলেছেন। মেহেরাজউদ্দিন চলতি বছরের শুরুতে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ফুটবলার সুয়েল ভাট। আইএসএল দলেও রয়েছেন। ফলে বাংলার ফুটবলে কাশ্মীরি যুবকদের মুন্সিয়ানা প্রমাণিত। এবার উপত্যকার কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ বাংলার।
আরও পড়ুন: