কলকাতা, 30 মার্চ : রামপুরহাট কাণ্ডের রিপোর্ট জেপি নাড্ডার হাতে তুলে দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Delegation of BJP Submit Their Report to JP Nadda on Rampurhat Massacre) ৷ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে 5 সদস্যের প্রতিনিধি দল রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যান ৷ সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ঘুরে দেখেন তাঁরা ৷ কথা বলেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে ৷ পাশাপাশি ওইদিন ঠিক কী ঘটেছিল তা জানতে গ্রামবাসীদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা ৷ সেই সব তথ্য এবং সেখানকার পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট জেপি নাড্ডার হাতে তুলে দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ৷
বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলে ছিলেন, রাজ্যসভার সাংসদ তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রজলাল ৷ লোকসভার সাংসদ তথা মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সত্যপাল সিং ৷ রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কে সি রামামূর্তি ৷ বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্য বিজেপির নেত্রী ভারতী ঘোষ ৷
আরও পড়ুন : Bagtui Murder : বগটুইয়ে ভাদু শেখ খুনে গ্রেফতার আরও তিন
সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ও ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় রামপুরহাট থানার আইসি ত্রিদীপ প্রামানিক, এসডিপিও সায়ন আহমেদ এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন ৷ আর বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই পুলিশ ও দমকল বগটুই গ্রামে যেতে দেরি করেছিল ৷ রিপোর্টে, অনুব্রত মণ্ডলের কল রের্কডও খতিয়ে দেখার দাবি করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Suvendu on Anubrata : জেরা নয়, অনুব্রতকে সরাসরি গ্রেফতার করা উচিত : শুভেন্দু
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘জেপি নাড্ডার নির্দেশে বিজেপি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল ৷ আজ বেলা 12টার সময় কমিটির তরফে আমরা সেই রিপোর্ট জমা দিলাম ৷ এই রিপোর্ট উনি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখেছেন ৷ কীভাবে এই গণহত্যা হয়েছিল ? আর পুলিশ প্রশাসন কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ? সেটা নিয়েও খোদ জেপি নাড্ডা প্রশ্ন তুলেছেন ৷’’