নয়াদিল্লি, 26 ডিসেম্বর: শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় (Shraddha murder case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার ভয়েস নমুনা নিতে সিবিআই (CBI) অফিসে গিয়েছে পুলিশ । আফতাবের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেবে (Aftab's voice sample) সিবিআইয়ের সিএফএসএল দল । এর আগে আদালতে শুনানির সময় পুলিশ ভয়েস নমুনা নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল ৷ যার অনুমতি দেয় আদালত । সেই সঙ্গে আফতাবের বিচারবিভাগীয় হেফাজত 6 জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে ছিল আদালত । বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত ।
23 ডিসেম্বর দিল্লির সাকেত আদালতে শুনানি হয় । আফতাবকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয় । এরপর আদালত আফতাবের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে 14 দিন করার সিদ্ধান্ত নেয় । সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত আফতাবের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং কলের বিবরণ বের করেছে ৷ তারপরে পুলিশ এখন তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিয়ে তদন্ত করবে ।
প্রসঙ্গত, শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় (Shraddha Murder Case) অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Aftab Amin Poonawalla) তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন (Aftab Withdraws Bail Plea)। দিল্লির সাকেত আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আফতাবকে আদালতে হাজির করা হয়। তখনই জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন আফতাব । তাঁর আইনজীবী জানান, সংশোধনাগারে গিয়ে তিনি আফতাবের সঙ্গে 50 মিনিট কথা বলেন । এরপর আবার আদালতে আসেন তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে আফতাব বিচারককে জানান, তিনি তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করতে চান ।
আরও পড়ুন: 'আমি শ্রদ্ধাকে খুনে করে টুকরো করেছি !' পলিগ্রাফে 'দোষ কবুল' আফতাবের
উল্লেখ্য, এর আগে, অভিযুক্ত আফতাবকে 1 ডিসেম্বর দিল্লির তিহার জেল থেকে নারকো টেস্টের জন্য রোহিণীর আম্বেদকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । সেখানে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে দুই ঘণ্টা নারকো পরীক্ষা করা হয় তাঁর । রোহিণীর এফএসএল অফিসে পাঁচবার আফতাবের পলিগ্রাফ পরীক্ষা করা হয়েছে । এই সময় আফতাবের উপর উত্তেজিত জনতার হামলার আশঙ্কায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল ।
লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং দেহ টুকরো টুকরো করে লোপাট করার ঘটনায় অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা (Delhi Murder Case)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার আগে আফতাব আমেরিকান ক্রাইম শো ডেক্সটার-সহ বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক ফিল্ম ও শো দেখেছিলেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য আফতাব গুগলে রক্ত পরিষ্কার করার উপায়ও খুঁজে পেয়েছিলেন। এরপরই তিনি শ্রদ্ধাকে হত্যা করেন এবং করাত দিয়ে তাঁর দেহ কেটে 35টি টুকরো করে ফেলেন। এরপর ফ্রিজ কিনে এনে সেখানে রাখা হয় দেহাংশগুলি। দুর্গন্ধ আটকাতে ধূপকাঠিও ব্যবহৃত হয়। 18 দিন ধরে প্রতি রাতে শ্রদ্ধার দেহের টুকরোগুলি জঙ্গলে ফেলে এসেছিলেন আফতাব।