নয়াদিল্লি, 8 মার্চ : সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব আজ সকাল থেকেই তুলকালাম হল রাজ্যসভা । প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতেই পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত ইস্যুতে আলোচনার প্রস্তাব দেন কংগ্রেসের সাংসদরা ৷ স্লোগানও তোলেন অধিবেশন কক্ষের ভিতরে ৷ হইচইয়ের জেরে প্রথমে 11 টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয় অধিবেশন । তারপরেও অধিবেশন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় দুপুর 1 টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয় রাজ্যসভার অধিবেশন ।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট, কৃষক আন্দোলন এবং পেট্রল, ডিজ়েল ও রান্নার গ্যাস লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুগুলি নিয়ে আজ সংসদের উভয় কক্ষ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল । শেষ কয়েকদিনে পেট্রল-ডিজ়েলে দামে খুব একটা হেরফের না হলেও বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম । বিরোধী দলগুলির তরফে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদও জানানো হয়েছে । কেউ চালিয়েছেন সাইকেল, কেউ আবার গোরুর গাড়ি । কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা গিয়েছিল ইলেকট্রিক স্কুটারে রাস্তায় নামতে ।
একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দামও । ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন শেষবার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল 27 ফেব্রুয়ারি । রাজধানীতে সিলিন্ডারপিছু এলপিজির দাম বেড়েছিল 91 টাকাল 17 পয়সা । এক ধাপে এতটা টাকা আগে কখনও বাড়েনি । তারপর থেকে অবশ্য চারটি মেট্রো শহরেই রান্নার গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ।
আরও পড়ুন : রাজ্যে ভোটপর্বে সংসদের অধিবেশন মুলতুবির আবেদন তৃণমূলের
আজ যখন কংগ্রেস সাংসদরা অধিবেশন কক্ষের ভিতরে প্রতিবাদ শুরু করেন, তখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডুকে বলতে শোনা যায়, তিনি প্রথমদিনেই কোনও কঠিন পদক্ষপ করতে চান না ।
তার আগে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পেট্রোপণ্য ও জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কংগ্রেসের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন । ধারা 257 তুলে তিনি রাজ্যসভায় ইস্যুটি নিয়ে বিতর্কের পক্ষে সওয়াল করেন । বলেন, "আজ পেট্রলের দাম লিটারপিছু প্রায় 100 টাকা । ডিজ়েলের লিটারপিছু দামও 80 টাকার উপরে উঠে গিয়েছে । রান্নার গ্যাসের দামও বেড়েছে । 2014 সাল থেকে রাজস্ব বাবদ মোট 21 লাখ কোটি টাকা আদায় হয়েছে । তারই ফলে দাম বাড়ছে আর ভুগতে হচ্ছে দেশকে ।"
কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারমান তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন এবং বলেন, অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল নিয়ে আলোচনার সময় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে । আর এর সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী দলের সাংসদরা স্লোগান তুলতে শুরু করেন । চেয়ারম্যান বারবার অনুরোধ করেন স্লোগান দেওয়া বন্ধ করার জন্য । কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় প্রথমে বেলা 11 টা পর্যন্ত এবং পরে তা বাড়িয়ে দুপুর 1 টা পর্যন্ত মুলতবি করে দেওয়া হয় অধিবেশন ।