নেল্লোর, 15 এপ্রিল: ক্লাসরুমে গর্ভপাত তরুণীর ৷ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হল তাঁর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলার একটি বি. টেক কলেজে ৷ জানা গিয়েছে, গত 11 এপ্রিল কলেজের ফাঁকা ক্লাসরুমে ওই তরুণী নিজেই গর্ভপাত করেন ৷ বিষয়টি পরবর্তী সময়ে তাঁর বন্ধুদের নজরে এলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে, চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গত 11 এপ্রিল নেল্লোরের একটি বেসরকারি বি. টেক কলেজের ছাত্রী ওই তরুণী ক্লাসরুমের দরজা বন্ধ করে নিজের গর্ভপাত করেন ৷ সেই সময় কোনও ক্লাস না-থাকায় সকল পড়ুয়া বাইরে ছিলেন ৷ তরুণী দীর্ঘক্ষণ বাইরে না-আসায় তাঁর বন্ধুদের সন্দেহ হয় ৷ তাঁরা ক্লাসরুমের সামনে গিয়ে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ৷ এরপরই পড়ুয়ারা কলেজ কর্তৃপক্ষকে খবর দেয় ৷ পরে নিরাপত্তারক্ষী ক্লাসরুমের দরজা ভাঙেন ৷ সবাই ভিতরে ঢুকে দেখেন ওই ছাত্রী ভিতরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ৷ মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে । তাঁর পাশে একটি ভ্রুণ ৷
দ্রুত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর বন্ধুরা ৷ সঙ্গে ভ্রুণটিকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ ভ্রুণটিতেও কোনও প্রাণ ছিল না ৷ খবর পেয়ে নেল্লোর সদর পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছয় ৷ পুলিশ তরুণীর দেহ এবং ভ্রুণটিকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ৷ তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে ৷ পুরো ঘটনায় মৃতের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ ৷ মৃত তরুণীর বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷
আরও পড়ুন: একাধিকবার গর্ভপাত, শেষমেশ মৃত সন্তান প্রসব ! অকথ্য নির্যাতনের শিকার নাবালিকা
তরুণী 6 মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ৷ তিনি কারও সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কিনা, তাও জানা যায়নি ৷ এই পরিস্থিতিতে পুলিশ মৃতের ফোন থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি ওই সময় অনন্তসাগর এলাকার বাসিন্দা এক গাড়ি চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ৷ দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে ৷ ফলে ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা ৷ মনে করা হচ্ছে, ওই ড্রাইভারের সূত্রে তরুণীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রহস্যভেদ হতে পারে ৷