নয়াদিল্লি, 9 নভেম্বর: পাকিস্তান সীমান্তে (Pakistan Border) একটি ড্রোন (Drone) গুলি করে নামালো বিএসএফ (BSF) ৷ ঘটনাটি ঘটে পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলায় ৷ পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোনটি ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল বলে বুধবার বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ৷
বিএসএফের তরফে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ফিরোজপুরের একটি গ্রামে ঘটেছে ৷ ওই গ্রাম একেবারে পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত ৷ সেখানে বিএসএফের 136 নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ৷ মঙ্গলবার রাত 11টা 25 মিনিট নাগাদ জওয়ানরা একটি শব্দ শুনতে পান ৷ তখনই তাঁরা অনুমান করেন যে ড্রোন উড়ছে আকাশে ৷ পরে ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয় (BSF Shoots Down Pak Drone) ৷
পরে ওই এলাকায় বিএসএফ ও পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police) তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ সেই অভিযান ওই ড্রোন উদ্ধার হয় ৷ এই নিয়ে আপাতত তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ঘটনাস্থল ঘিরে দেওয়া হয়েছে ৷ ওই এলাকা বিস্ফোরক বা অন্য কিছু আছে কি না, তা জানতেও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে ৷
এই প্রথম নয়, এর আগেও পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের সীমানায় ড্রোন ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে ৷ গত অক্টোবরের শুরুতেই এই ঘটনা ঘটে ৷ তখন পঞ্জাবের অমৃতসরের চান্না গ্রামে পাকিস্তানের দিক থেকে একটি ঢুকে পড়ে ৷ সেবারও রাতেই ঘটনাটি ঘটেছিল ৷ তখনও ওই ড্রোন গুলি করে নামিয়েছিল বিএসএফ ৷
সরকারি সূত্রে বলছে, এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানের দিক থেকে সব মিলিয়ে 191টি ড্রোন ঢুকে পড়ে ৷ এর মধ্যে 171টি পঞ্জাব সেক্টর দিয়ে ঢুকেছে ৷ বাকি 20টি ঢুকেছে জম্মু সেক্টর দিয়ে ৷ এর মধ্যে সাতটি গুলি করে নামাতে সক্ষম হয়েছে বিএসএফ ৷
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিভিন্ন কারণে ড্রোনের ব্যবহার করা হয় পাকিস্তানের দিক থেকে ৷ কখনও গোয়েন্দাগিরির জন্য পাঠানো হয় ৷ আবার কখনও অস্ত্র, বিস্ফোরক পাঠাতে ব্যবহার করা হয় ড্রোন ৷ এমনকী মাদক পাচারেও ব্যবহার করা হচ্ছে ৷
এই নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার ৷ সম্প্রতি শ্রীনগরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) ৷ সেই বৈঠকেই এই নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্জাবের গুরদাসপুরে গুলি চালিয়ে পাকিস্তানি ড্রোন নামাল বিএসএফ