হলদ্বানী (নৈনিতাল), 9 নভেম্বর: মঙ্গলবার এক আজব ঘটনা নিয়ে জেরবার হতে হল নৈনিতালের হলদ্বানী কোতওয়ালির (Haldwani Kotwali) পুলিশকর্মীদের ৷ আসলে এলাকারই এক তরুণীর বিয়ে পাকা হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু, বিয়ের কয়েক দিন আগেই তিনি বেঁকে বসেন এবং পাত্রপক্ষকে জানিয়ে দেন, এই বিয়ে তিনি করতে পারবেন না (Bride Refuses to Marry) ৷ এর কারণ হিসাবে ওই তরুণী জানান, বিয়েতে পরার জন্য পাত্রের বাড়ি থেকে তাঁকে যে লেহেঙ্গাটি (Lehenga) কিনে দেওয়া হয়েছে, তা তাঁর একেবারেই পছন্দ হয়নি ৷ আর সেই কারণেই বিয়ে বাতিল করছেন তিনি ! এই ঘটনার পরই শুরু হয় ঝামেলা ৷ মঙ্গলবার দুই পক্ষই হাজির হয় থানায় ৷ সেখানে সেই লেহেঙ্গার খুঁটিনাটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা ! অবশেষে দুই পক্ষই মেনে নেয় যে এই বিয়ে আর হচ্ছে না ৷
বিয়েটি হওয়ার কথা ছিল গত 5 নভেম্বর ৷ পাত্রপক্ষ বিয়ের কার্ডও ছাপিয়ে ফেলেছিল ৷ কিন্তু, লেহেঙ্গা বিপর্যয়ের জেরে তা ভেস্তে যায় ৷ এই অবস্থায় দুই পক্ষই থানায় গিয়ে রীতিমতো হুজ্জোতি শুরু করে দেয় ৷ তাতে থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের মাথার চুল ছেঁড়ার জোগাড় হয় ! শেষমেশ পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, হয় দুই পক্ষ অবিলম্বে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলুক, আর তা না-হলে সকলকে একসঙ্গে শান্তি ভঙ্গ করার অভিযোগে লক-আপে ভরে দেওয়া হবে ! বেগতিক বুঝে এরপর দুই তরফের সদস্যরাই শান্ত হয়ে যান ৷
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে বিয়ে করতে লিঙ্গ পরিবর্তন শিক্ষিকার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ওই তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল আলমোরার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ৷ গত জুন মাসে তাঁদের মধ্যে আংটিবদল হয় ৷ এরপর দুই পক্ষই বিয়ের জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে যায় ৷ স্থির হয়, কনের লেহেঙ্গাটি তৈরি করাবে পাত্র নিজে ৷ কিন্তু, তার বদলে পাত্রের বাবা লখনউ থেকে একটি লেহেঙ্গা আনানোর বরাত দেন ৷ পরে সেই লেহেঙ্গা কনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, লেহেঙ্গা দেখেই মুখ গোমড়া হয়ে যায় পাত্রীর ৷ তিনি সাফ জানিয়ে দেন, বিয়ের এই পোশাক তাঁর একটুও পছন্দ হয়নি ৷ এরপর এ নিয়েই দুই পক্ষের পক্ষে বিবাদ শুরু হয় ৷ এরই জেরে পাত্রী জানিয়ে দেন, তিনি এই বিয়ে করবেন না ৷ ঘটনা গড়ায় থানা পর্যন্ত ৷ শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে বিবাদ মেটে ৷ স্থির হয়, বিয়ে আর হবে না ৷ প্রসঙ্গত, লখনউ থেকে আনানো ওই লেহেঙ্গাটির দাম ছিল 10 হাজার টাকা ৷