হলদোয়ানি (উত্তরাখণ্ড), 12 ডিসেম্বর: বাড়ির মেয়ের বিয়ে ৷ বিয়ের মূল অনুষ্ঠানের আগে বসেছিল মেহেন্দির আসর (Mehendi Ceremony) ৷ আর ঠিক তখনই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা ৷ নাচতে নাচতেই পড়ে গেলেন পাত্রীর বাবা ৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করতে না-করতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নাচতে নাচতেই হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হন তিনি ৷ প্রাণ হারাতে হয় তার জেরেই (Bride Father Lost Life) ৷ গত শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আলমোরা জেলার হলদোয়ানি (Haldwani) শহরে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়ের ঠিক আগের রাতে এই ঘটনা ঘটে ৷ কিন্তু এরপরও বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়নি পাত্রীপক্ষ ৷ রবিবার রাতে স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কোয়েট হলে ওই তরুণীর বিয়ে হয় ৷ বাবার মৃত্যুর খবর তখনও পর্যন্ত তাঁকে দেওয়া হয়নি বলেই দাবি সূত্রের ৷ বদলে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর বাবা গুরুতর অসুস্থ ৷ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর ৷ এই অবস্থায় বিয়ের অনুষ্ঠানে কন্য়াদানের প্রথা সারেন পাত্রীর মামা ৷
আরও পড়ুন: বরের বাড়ির লেহেঙ্গা না-পসন্দ, বিয়ে বাতিল করলেন কনে !
এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ কনের পরিবারের সদস্যরা ৷ তাঁদের আশংকা, যে মুহূর্তে নববধূ তাঁর বাবার মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানতে পারবেন, ভেঙে পড়বেন তিনি ৷ তাই বিয়ে সংক্রান্ত যাবতীয় রীতি মিটে গেলে তাঁকে ধীরে-সুস্থে সবকিছু জানানো হবে ৷ তবে, তাতেও পরিস্থিতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন নববধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷
অন্যদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ কিন্তু এ নিয়ে একটিও বাক্য খরচ করতে রাজি হয়নি ৷ যদিও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, তাদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে কনের বাবার ৷ তবে, ঘটনার তদন্ত চলছে ৷ তাই এখনই এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে রাজি নন সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা ৷